Audio Lecture – ইসলামী রাজনীতি নিয়ে গোলকধাঁধা

9
3767

dhormo-jar-jar

বক্তাঃ মুফতী কাজী মুহাম্মাদ ইব্রাহীম  (প্রধান মুহাদ্দিস, জামিয়া কাসেমিয়া, নরসিংদী)

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ   বর্তমানে বাংলাদেশ একটি অনিবার্য ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী? মুসলিম হিসেবে আমাদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? আমাদের করনীয় কী? সত্যিই কী ইসলামে “রাজনীতি” আছে? এ বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য কী?

ইসলাম সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান সম্পন্ন মানুষটিও বলবেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। “পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা” কথাটির অর্থই হলো এমন একটি জীবন ব্যবস্থা যাতে মানব জীবনে প্রয়োজন হয়, এমন কোনো বিষয় নেই যা এই জীবন ব্যবস্থার মধ্যে নেই। অন্তত “পূর্ণাঙ্গ” শব্দটি দিয়ে তা-ই বুঝায়। কিন্তু কী আশ্চর্য! কেউ যখন বলেন, “এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, কিন্তু এতে এই বিষয়টি নেই” তখন তিনি আসলে সত্য কথা বলছেন না। কারণ যাতে মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য একটি বিষয় নেই, সেটি কী করে “পূর্ণাঙ্গ” জীবন ব্যবস্থা হতে পারে?!!

যেসব গুণাবলীর কারণে মানুষ অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীদের থেকে আলাদা তার অন্যতম হলো, জ্ঞান এবং বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতা। আসুন, মানুষ হিসেবে নিজের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই সে বিষয়ে জেনে নিই। নিজের ঘুমিয়ে থাকা বিবেককে প্রশ্ন করি। সততার সাথে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি। হীনস্বার্থের কারণে যেন আমরা সত্যকে অস্বীকার না করি।

এই বক্তব্যটিতে কোরআন এবং সুন্নাহ্‌র আলোকে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে:

  • ইসলামী রাজনীতি সম্পর্কে প্রচলিত সবগুলো ভুল ধারণার উত্তর দেওয়া হয়েছে।
  • প্রকৃত ইসলামী রাজনীতি কী, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  • রাসূল (সা:) এবং তাঁর সত্যাশ্রয়ী সাহাবাগণ রাজনীতি করেছিলেন কি না, তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
  • শাসন ক্ষমতা কেন দরকার, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
  • এছাড়াও আপনার মনে রয়ে যাওয়া ইসলামী রাজনীতি সম্পর্কে উদয় হওয়া যেকোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন এই বক্তব্যে, ইনশাআল্লাহ্‌।

Download

Server1 | Server 2

Audio:

Video:

 

Lecture Courtesy: Islamic Research Academy.

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

9 COMMENTS

  1. dhormandho মুফতী কাজী মুহাম্মাদ ইব্রাহীম ,dhakar muhammad pur madrasar dhormandho জসিম উদ্দীন রাহমানী abong rajshahir ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব,

    ইসলামী politics abong জিহাদ ও ক্বিতালের যে ব্যাখ্যা
    দিয়েছেন তা জঙ্গীবাদীদের ব্যাখ্যা। বিগত বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানের
    সাথে কোন পার্থক্য নেই।ara shobai নিজে কোন জিহাদ ও ক্বিতাল করছেন না বসে
    বসে খুতবা দিচ্ছেন আর বই লিখছেন আর hajar hajar website khula টাকা
    কামাচ্ছেন । মাদ্রাসার নামে জঙ্গিবাদ protishtha kora adar mul lokkho
    abonh uddesho.Beware of them.

  2. জনাব ইউসুফ আল-আমীন, আপনার বক্তব্যে বুঝা যায় ইসলামী রাজনীতি নিয়ে আপনার জ্ঞানের পরিধি ব্যাপক। তাই আমাদের মতো অজ্ঞ লোকদের ইসলামী রাজনীতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান হাসিলের জন্য আপনার কাছ থেকে অতি সত্ত্বর কুরআন-হাদিসের আলোকে একটি বক্তব্য আশা করছি। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত এবং দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন……

  3. Bamponti Kader bola hoi o ader kaj ki o ar sathe ki islamer kono relation ase??? ai doroner leka chai Quran o Hadither aloke, then amora helpful hobo.

  4. ইসলামে “রাজনীতি” আছে? এ বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য কী? মুফতী কাজী মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলছেন ধর্ম যার যার রাজনীতি সবার ? বক্তব্য উস্কানি মূলক । ইসলামে ইসলাম নীতি আছে -রাজনীতি না । কিভাবে দৈনন্দিন সমাজ জীবন নৈতিক মূল্যবোধে চালাতে হয় তার সার্বিক  শিক্ষা ইসলাম শেখায় । ইসলাম রাষ্ট্রীয় জীবন কিভাবে সার্বিক সুন্দর করা যায় তা শেখায় ।ভালোর প্রতিযোগিতা শেখায় , মন্দ পরিহার করতে শেখায় । রাষ্ট্রীয় জীবন সমাজ জীবন সুন্দর করতে হলে ব্যক্তি জীবনকে কর্মে উন্নত করতে হবে । অতি কথন জীবন নাশ করে , সঠিক কর্মপন্থা ন্যায় ও সুশাসনের অনুগামী । ভালো কথা বলে কোনো কাজ হবে না যদি আমল ভালো  নাহয় , উত্তম কর্ম না করি । মানুষের ভালো কাজই আল্লাহ গ্রহণ করবেন । 
    আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। কোরআন ৩:১০৪
    হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত। কোরআন ৫:৮  
    আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে? তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, পাপীর  নিকট।কোরআন ২৬:২২১-২২২  
    বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করতে আদিষ্ট হয়েছি।আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব প্রথম নির্দেশ পালনকারী হওয়ার জন্যে।কোরআন ৩৯:১১-১২
    এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে। কোরআন ৫:৩২
    আমি তোমাদের এককে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা সবর কর কিনা। আপনার পালনকর্তা সব কিছু দেখেন(কোরআন 25:20)
     যারা — দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি (কোরআন ৫:৩৩)।

আপনার মন্তব্য লিখুন