জুম’আর হুকুম ও ইতিকথা

659
10409

লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম

জুম’আর সালাত ফরজ; তবে ঐ সব পুরুষদের জন্য, যাদের উপর জামা’আতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “হে মু’মিনগণ! জুম’আর দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে তখন তোমরা আল্লাহর স্মরনে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর।” [সূরা জুম’আঃ৯]

উল্লেখ্য যে, فَاسعَوا  ‘ফাস’আউ’ শব্দের অর্থ এখানে দৌড়ানো উদ্দেশ্য নয়। অর্থাৎ আযান হওয়া মাত্র সকল কাজ বাদ দিয়ে সালাত আদায়কে সবকিছুর উপর গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিতে হবে। এখানে এই অর্থই বোঝানো হয়েছে। সালাতে দৌড়ে আসতে হবে- এটা বুঝান হয়নি। কারণ দৌড়ে এসে সালাতে শরীক হওয়ার ব্যপারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা আছে। সালাতে আসতে হয় খুশু-খুযু, ভয়-ভীতি ও বিনয়ের সঙ্গে।

জুমআর নামকরণ

মুসুল্লীদের জমায়েত হওয়ার কারণে এ দিনের নাম জুম’আর দিন অর্থাৎ জমা হওয়ার দিন। ‘জুম’আ’ অর্থ সমাবেশ বা সম্মেলন।

সর্বপ্রথম জুম

প্রথম হিজরীতে হিজরতের পরপর নবী করিম (সাঃ)এর মদীনা আগমনের সাথে সাথে জুম’আ ফরয হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বপ্রথম জুম’আ পড়েছিলেন মদীনার কুবা মসজিদে ও মসজিদে নববীর মধ্যবর্তী ‘বনু সালেম ইবনে আউস’ গোত্রে (ইবনু শাইবা, তারীখুল মদীনাঃ ১/৬৮)। বর্তমানে এ জায়গায় নির্মিত মসজিদটির নাম ‘মসজিদে জুম’আ’। এরপর তিনি (সাঃ) মসজিদে নববীতে জুম’আ আদায় শুরু করেন। বর্তমান  সৌদি আরবের পূর্ব এলাকা বাহরাইনের একটি গ্রামের নাম ‘জুওয়াসা’ [বুখারীঃ ৮৯২, ইফা ৮৪৮, আধুনিক ৮৪১]। এ এলাকায় আবদে কাইস গোত্রের বসতি ছিল। অতঃপর এখানে জুম’আ পড়া শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, এই বাহরাইন বর্তমান রাষ্ট্র বাহরাইন নয়।

জুমআ ও যোহরের মধ্যে পার্থক্য

জুম’আ ও যোহরের মধ্যে পাঁচটি পার্থক্য আছে-

(১) যোহর সকল বিবেক সম্পন্ন মুমিন নর-নারীর উপর ফরজ, আর জুম’আ সকলের উপর ফরজ নয়;
(২) যোহর হল মূল সালাত, আর জুম’আ হল যোহরের পরিবর্তে;
(৩) জুম’আর কিরা’আত প্রকাশ্যে আর যোহরের কিরা’আত চুপে চুপে;
(৪) জুম’আর ফরজ দুই রাকা’আত, আর যোহরের ফরজ চার রাকা’আত;
(৫) জুম’আয় খুৎবা আছে কিন্তু যোহরে কোন খুৎবা নেই।

জুমআর সালাতের ওয়াক্ত

অধিকাংশ আলেমের মতে, “জুম’আ ও যোহরের সময় একই। যখন যোহরের শুরু হয় জুম’আও তখনই শুরু হয়। অর্থাৎ ঠিক দুপুরে সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিমে কিছুটা ঢলে পড়লে জুম’আর সময় শুরু হয়।” [বুখারীঃ ৪১৬৮]

জুমআর সালাতে মুসুল্লীর সংখ্যা

কমপক্ষে কতজন মুসুল্লী হলে জুম’আর সালাত আদায় করা যায় এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখপূর্বক কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে বিজ্ঞ আলেমদের মতে, ইমাম ব্যতীত কমপক্ষে ৩ জন হলেই যথেষ্ট। একজন খুৎবা দেবে, বাকী তিনজন শুনবে। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাঃ) এ অভিমতটি গ্রহন করেছেন। আর এটাই সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য মত।

জুমআ আদায়ের নুন্যতম এলাকা

  • যত ছোট গ্রামই হোক সেখানে জুম’আ পড়া জায়েয আছে। খলীফা উমর (রাঃ) বাহরাইনের অধিবাসীদের লিখেছেন: “তোমরা যেখানেই থাক জুম’আ পড়।” [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা; বুখারী ৮৯৩, ইঃফাঃ ৮৯৩, আধুনিক ৮৪২]
  • ইবনে উমর (রাঃ) মক্কা মুকাররামা ও মদীনা মুনাওারার মধ্যবর্তী পথে ছোট ছোট জনপদগুলোতে মানুষকে জুম’আ পড়তে দেখেছেন। তিনি তাতে কোন আপত্তি করতেন না। [মুসান্নাফে আঃ রাজ্জাক]
  • অপরদিকে পাড়াগ্রামে জুম’আ হবে না মর্মে খলীফা আলী (রাঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে একটি হাদিস বর্ণনার প্রচলন এ দেশে আছে। আসলে এটি সহীহ হাদীস নয়। [মাজাল্লাতুল বুহসিল ইসলামিয়া ১৬/৩৫২-৩৫৪, ২২/৭৫]
  • উল্লেখ্য যে, কোন অমুসলিম দেশে পড়াশোনা বা চাকরীরত অবস্থায় সেখানে মসজিদ না থাকলে কোন একটি রুমে ৩ জন মিলে জুম’আ পড়লেও তা আদায় হয়ে যাবে। [মাজাল্লাতুল বুহুসিল ইসলামিকঃ ১৫/৮৫]

জুমআ যার উপর ফরজ

হুঁশ-জ্ঞান সম্পন্ন ও স্বাধীন প্রত্যেক বালেগ মুসলমান পুরুষদের উপর জুম’আ ফরজ। এ বিষয়ে সারকথা হচ্ছে, যার মধ্যে নিম্নে বর্ণিত শর্তগুলো একযোগে পাওয়া যায় তার উপর জুম’আ ফরজ।

(১) মুসলমান হওয়া (কারণ ইসলাম গ্রহন ছাড়া কোন ইবাদতই কবুল হয় না)।
(২) বালেগ হওয়া (তবে নাবালেগ শিশু জুম’আ পড়লে সওয়াব পাবে)।
(৩) হুঁশ জ্ঞান থাকা (কারণ বেহুঁশ বা পাগলের কোন ইবাদত নেই)।
(৪) পুরুষ হওয়া (মেয়েদের উপর জুম’আ ফরজ নয়, তবে পড়লে আদায় হবে)।
(৫) স্বাধীন হওয়া (গোলাম বা ক্রীতদাস হলে জুম’আ ফরয হয় না)।
(৬) মুকীম হওয়া (মুসাফির অবস্থায় জুম’আ ফরজ হয় না)।
(৭) শরয়ী উযর না থাকা (অসুস্থ, ভয়ভীতি বা নিরাপত্তাহীনতায় না থাকা)।

● যাদের উপর জুম’আ ফরয নয় তারা যদি জুম’আ পড়ে তবে তা আদায় হয়ে যাবে। যেমন শিশু, মহিলা, রোগী বা উযর আছে এমন যে কেউ জুম’আ পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে এবং এর সওয়াব ও পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে তাদের আর যোহর পড়তে হবে না। তবে মেয়েরা ইমাম হতে পারবে না, খুৎবা দিতে পারবে না।

● “রাস্তায় কাদা থাকা, পথ পিচ্ছিল হওয়া ইত্যাদি কারণে কেউ জুম’আয় যেতে না পারলে এমতবস্থায় তার গুনাহ হবে না। তবে বাসায় যোহর পড়ে নেবে।” [বুখারীঃ৯০১, ইঃফাঃ৮৫৫, আধুনিকঃ৮৪৮; মুসলিমঃ৬৯৯]

● “যারা লোকালয়ের বাইরে বা সমুদ্রে এতটুকু দূরে কাজ করে যে, সেখান থেকে আযান শুনতে পায় না, তাদের উপর জুম’আ ফরজ নয়, তবে এসে জুম’আয় শরীক হতে পারলে সওয়াব পাবে।” [ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীনঃ১/৩৯৯]

● “মুসাফির ব্যক্তি জুম’আর খুৎবা দিতে ও ইমামতি করতে পারবে।” [ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীনঃ৫/২৩]

● জুম’আ ফরজ ‘এমন’ ব্যক্তির জুম’আর দিনে সফরে বের হলে, পথিমধ্যে কোথাও জুম’আ পড়তে পারে- এমন নিশ্চয়তা থাকলে একদল আলেমের মতে, এ দিন সফর করা জায়েয আছে। আর যদি কোথাও জুম’আ না পাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে এ দিন সফর করা উচিত নয়। তবে জুম’আর সালাত শেষ হওয়ার পর সফর করতে কোন নিষেধ নেই।

সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা (লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম; পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।)

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

659 COMMENTS

  1. রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা (লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম Boitar pdf pete chai. Thanks

  2. would like to say this is new concept of Islam & made by ( mr.ilias)from india & most of the components are started from there.whish Allah rescued all of the muslim.amin.

  3. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করার কথা কি কুরআনে উল্লেখ আছে?

  4. আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বা যে সময় সহিংসতা চলে সেসময় নাকি জুম’আ নামায পড়ানো হয় না আসলে কি এটা সত্য?

  5. আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বা যে সময় সহিংসতা চলে সেসময় নাকি জুম’আ নামায পড়ানো হয় না আসলে কি এটা সত্য?

  6. আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বা যে সময় সহিংসতা চলে সেসময় নাকি জুম’আ নামায পড়ানো হয় না আসলে কি এটা সত্য?

  7. আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বা যে সময় সহিংসতা চলে সেসময় নাকি জুম’আ নামায পড়ানো হয় না আসলে কি এটা সত্য?

  8. Atakei bole kew dhon peye haralo,r ondhokare duoklo,r kew allah subhanahu taalar rahmat pelo.alhamdulillah for friday of jummah of muslims.

  9. জুম’আ ও যোহরের মধ্যে পার্থক্য
    জুম’আ ও যোহরের মধ্যে পাঁচটি পার্থক্য আছে-
    (১) যোহর সকল বিবেক সম্পন্ন মুমিন নর-নারীর উপর ফরজ, আর জুম’আ সকলের উপর ফরজ নয়;
    (২) যোহর হল মূল সালাত, আর জুম’আ হল যোহরের পরিবর্তে;
    (৩) জুম’আর কিরা’আত প্রকাশ্যে আর যোহরের কিরা’আত চুপে চুপে;
    (৪) জুম’আর ফরজ দুই রাকা’আত, আর যোহরের ফরজ চার রাকা’আত;
    (৫) জুম’আয় খুৎবা আছে কিন্তু যোহরে কোন খুৎবা নেই।

  10. অযূ ছাড়া সালাত হবে না
    আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার অযূ নেই, সে অযূ না করা পর্যন্ত তার সালাত হবে না।” [বুখারী: ১৩৫]

  11. জুম‘আর কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
    (১) বাধ্যগত কারণে জুম‘আ পড়তে অপারগ হ’লে যোহর পড়বে। [ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৬-২৭।]
    সফরে থাকলে ক্বছর করবে। মুসাফির একাধিক হ’লে জামা‘আতের সাথে ক্বছর পড়বে।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪, ‘সফরে ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪১।]
    (২) জুম‘আর ছালাত ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে বাকী আরেক রাক‘আত যোগ করে পূরা পড়ে নিবে।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪১২, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।]
    (৩) কিন্তু রুকূ না পেলে এবং শেষ বৈঠকে যোগ দিলে চার রাক‘আত পড়বে’।[মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, বায়হাক্বী ৩/২০৪; ত্বাবারাণী কাবীর, সনদ ছহীহ; ইরওয়া ৩/৮২।]
    অর্থাৎ জুম‘আর নিয়তে ছালাতে যোগদান করবে এবং যোহর হিসাবে শেষ করবে।[ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৫, টীকা দ্র:।]
    এর মাধ্যমে সে জামা‘আতে যোগদানের পূরা নেকী পাবে’। [বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/৬২১; ৩/৮১-৮২।]অবশ্য রুকূ পাওয়ার সাথে সাথে তাকে ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতে ফাতিহা পেতে হবে। কেননা ‘সূরা ফাতিহা ব্যতীত ছালাত সিদ্ধ হয় না’।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; আলোচনা দ্রষ্টব্য : ‘সূরা ফাতিহা পাঠ’ অধ্যায়।] উল্লেখ্য যে, ‘যে ব্যক্তি তাশাহহুদ পেল, সে ব্যক্তি ছালাত পেল’ মর্মে মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ-তে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণিত আছারটি যঈফ।[আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ৩/৮২।]
    (৪) খত্বীব মিম্বরে বসার পর মুছল্লীগণ দ্রুত কাছাকাছি চলে আসবে ও খত্বীবের মুখোমুখি হয়ে বসবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত দূরে বসবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে গেলেও দেরীতে প্রবেশ করবে।[আবুদাঊদ হা/১১০৮; ঐ, মিশকাত হা/১৩৯১, অনুচ্ছেদ-৪৪; তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪১৪, অনুচ্ছেদ-৪৫।]
    (৫) খুৎবার সময় মুছল্লীদের তিনমাথা হয়ে (الْحَبْوَة) অর্থাৎ দু’পা উঁচু করে দু’হাটুতে মাথা রেখে বসা নিষেধ।[তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।]
    (৬) পিছনে এসে সামনের মুছল্লীদের ডিঙিয়ে যাওয়া উচিত নয়। বরং সেখানেই বসে পড়বে।[আবুদাঊদ হা/১১১৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-২৩৮।
    (৭) জুম‘আ সহ কোন বৈঠকেই কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসতে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন।[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৯৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।] তবে সকলকে বলবে, إِفْسَحُوْا ‘আপনারা জায়গা ছেড়ে দিন’।[মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮৬ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।]
    (৮) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আতে তিন ধরনের লোক আসে।
    (ক) যে ব্যক্তি অনর্থক আসে, সে তাই পায়
    (খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনার জন্য আসে। আল্লাহ চাইলে তাকে দেন, অথবা না দেন
    (গ) যে ব্যক্তি নীরবে আসে এবং কারু ঘাড় মটকায় না ও কষ্ট দেয় না, তার জন্য এই জুম‘আ তার পরবর্তী জুম‘আ এমনকি তার পরের তিনদিনের (ছগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান রয়েছে’ (আন‘আম ৬/১৬০)।[আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৬, অনুচ্ছেদ-৪৪।]

  12. আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক
    (Add me)

  13. সুবাহানআল্লাহ সুবাহানআল্লাহ সুবাহানআল্লাহ

  14. আল্লাহ তায়ালা আমাদের শুক্রবারে বেশি বেশি নেক আমল সহ সকল ফযীলত হাসিলের তৌফিক দিন আমিন !!!!

  15. allah amaderke ai dintir maddhome ases souab laver akti sujog den ja sobar bhagge hoi na,jara ai dintate bivinno function o programme nie besto thake.mohan allah sobaike ai diner morjada bojar o rokkha korar taufik din.

  16. আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া
    আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েন দয়া করে।
    একজন মুসলমান কাজ করে ইহুদিদের আনডারে
    যেমন ইউরপ আমিরিকাতে যারা কাজ করে
    তারা কিন্তু জুমায় অংশ গ্রহন করতে পারেনা কারন তাডের বস হলো মুশ্রিক
    এখন এই ক্ষেত্রে কি করা উছিত হাদিস অনুসারে বলবেন কি ?
    কি মাসায়ালা আছে #এডমিন ভাইয়া

  17. সবাইকে জুমআ মোবারক।
    আসুন সবাই এই দিনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে ৫ ওয়াক্ত নামায পরার তাওফিক দাও । আমিন , আমিন ।
    : হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, যদি তুমি আমদেরকে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হব।হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের স্পর্শ ও বিপদে শক্রর উপহাস হতে।”আমিন , আমিন

  18. আর জুম্মার দিন দোয়া কবুলের দিন, বিশেষ করে আছরের পর দোয়া কবুলের সময়, বহু হাদিস দারা প্রমাণিত,

  19. হযরত আবু উমামাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (ﺃﺑﻰْ ﺃﻣﺎﻣﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ ) বর্ণিত আছে যে,রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জিজ্ঞাসা করা হইল, কোন সময়ের দুআ’ বেশী কবুল হয়? তিনি বলিলেন, রাত্রির শেষের অংশে এবং ফরয নামাযের পরে। (তিরমিযী)

  20. হা আমিজানবো জুমারদিনের ফজিলাত গরেজাবো পবিএ জিবোনঃ

  21. Not trust able.If a criminal die on friday what will happen? Do you think he/she will be excused? I do not see such thing in Qurren. Do not spread false things. Due to false Hadis the crime other people will do that will add in your account.

  22. 40 jonke nicer 7 ti nam sent korlam
    tumi o koro dekhbe kal sokaler
    moddhe tmi 3 ti khushir khobor
    shunte pabe. 100% guarranty. 1. Ya
    allah. 2. Ya rahim. 3. Ya rahman. 4.
    Ya razzak. 5. Ya karim. 6. Ya gafur.
    & 7. Ya hafijo. Don’t avoid

  23. আমিন~~~~!
    কিন্তু যারা ব্যাচেলার থাকবে তারা কি পাবে?
    ব্যাখা দিবেন কেহ,,,,,,,,

  24. subhanallha.dekhlen to muslim bhaira,apnader jonno sowab orjon korar kato sojog kre dieachen allha taala.tai jato taratari sombhob jommar namaje ongso niben insaallha!

  25. এবার মুখোমুখি মেসি-নেইমার
    বেইজিং এয়ারপোর্টে নামতেই
    ভক্তদের
    ভিড়ে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার
    অবস্থা লিওনেল মেসি, নেইমার
    জুনিয়র,
    কাকা কিংবা ডি মারিয়াদের।
    বিমানবন্দর থেকে নামতেই
    তাদের দিকে ধেয়ে এল কয়েকশ’
    ভক্ত। কারও আব্দার সেলফি।
    আবার কেউ বাড়িয়ে ধরলেন
    অটোগ্রাফের খাতাটা।
    শনিবার বেইজিং অলিম্পিক
    স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে লাতিনের
    দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল
    এবং আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচেই
    মুখোমুখি বার্সেলোনার দুই
    বন্ধু……

  26. আমরা যেন জুম’আর সালাত ত্যাগ না করি । কেননা রাসুল (সাঃ) বলেছেন তিনটি জুম আর সালাত তরক করলে অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়।

  27. আল্লাহ ছুবানাহুতায়ালা  আমাকে ও সকল  মুমীন মুসনমুসলমানকে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করে ,……আমীন

  28. Do you want to get Indian visa appointment date easily then contact with me or mail me
    urgent date Dhaka 2500/- (with in 2/3 working days) Friday and Saturday off
    normal date Dhaka 2000/- (with in 7 working days)
    Chittagong 1500/- (within 4/5 working days)
    (also visa confirm 8000/-
    business visa 25000/-)
    SHAON
    +8801964067238
    [email protected]

  29. রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
    বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণের
    চেষ্টা করবে,আল্লাহ তাকে ধৈর্য
    দিবেন। ধৈর্যের চেয়ে
    ভাল ও বিপুল কল্যাণের আধার আর
    কোন
    নিয়ামত নয়। (বুখারী,মুসলিম)
    =shahadat=

  30. সকল দিনের শ্রেষ্ঠ দিন মুসলমানদের জুমার দিন

  31. আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়াত দান করুন আমিন

  32. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  33. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  34. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  35. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  36. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  37. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  38. its islamic page so like this page কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো কোরানের আলো

  39. মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন, আমিন

  40. মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন, আমিন

  41. মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন, আমিন

  42. একটি শিক্ষা মুলক পোস্ট দয়া করে পড়ুন: এক দরিদ্র ছেলে রাতের বেলা কোরআন
    পড়ছিল। হঠাৎ তেল শেষ হয়ে
    বাতিটা নিভে যাওয়ায় ছেলেটি মনের
    দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো,
    ‘হে
    আল্লাহ, আমায় এত গরীব করে কেনো
    দুনিয়াতে পাঠালে? তেল কিনে কোরআন
    পাঠ করার সামর্থও যে আমার নাই’।
    তখন ঐ ছেলেটির কান্না শুনে এক যুবক
    তার দরজায় কড়া নারলো।ছেলেটি দরজা
    খোলার পর তাকে জিজ্ঞাসা করলো,
    ‘তুমি কাঁদছো কেনো?’
    অতঃপর ছেলেটি তাকে বললো, ,আমি
    এতই গরীব যে তেল কিনে কোরআন
    তেলাওয়াত করতেও পারছিনা’।যুবকটি
    বললো, ‘তুমি কেঁদনা আমি তোমার
    জন্য কেরোসিন নিয়ে আসছি।কিছুক্ষন
    পরে যুবকটি কেরোসিন কিনে এনে
    বললো, ‘আমি জীবনে আর মদ খাব না।
    এতদিন যত টাকার মদ খেতাম এখন থেকে
    সেই টাকা দিয়ে তোমাকে কোরআন
    পড়ার জন্য কেরোসিন কিনে দেব’।
    ওই রাতেই যুবকটি মারা গেলেন কিন্তু
    সে মদ খেত বলে এলাকার লোকজন কেউ
    তার দাফন কাফন করতে চাইলো না ।
    এমনকি তার লাশ ঐ এলাকার কবরস্হানে
    দাফন করতেও দিবেনা বলে জানালেন।
    অতঃপর যুবকটির লাশ জঙ্গলে ফেলে
    রেখে আসা হল। কিন্তু আল্লাহর কি
    কুদরতি মহিমা তিন দিন তিন রাত
    অতিবাহিত হবার পরেও লাশটি সম্পূর্ন
    অক্ষত অবস্হায় ছিল। বনের কোনো
    হিংস্র জন্তু জানোয়ার ছিড়ে খাবে তো
    দূরের কথা একটা পোকা মাকড়ও তার
    মৃতদেহ স্পর্শ করেনি। এমনি ভাবে চার
    দিন কেটে যাবার পর ঐ এলাকার তিনজন
    আল্লাহ ওয়ালা লোক স্বপ্নে দেখলেন
    যুবকটির লাশ দাফন করতে হবে। পরের
    দিন তারা তিন জন মিলিত হয়ে
    লাশটিকে জঙ্গল থেকে তুলে এনে গোসল
    করিয়ে কাফন পড়িয়ে জানাযার
    আয়োজন করলেন, কিন্তু এলাকাবাসী
    বললেন একটা মদখোরের জানাযা আমরা
    পড়বো না। তাই অল্প কিছু লোক নিয়েই
    জানাযা আদায় করার পর মৌলভী
    সাহেব জানতে চাইলেন এমন কেউ কি
    নাই যে এই মৃত ব্যক্তির একটি ভাল
    কাজের কথা বলতে পারবে ?
    তখন একজন লোক হাত তুললেন যার কাছ
    থেকে যুবকটি ঐ গরীব ছেলেটির জন্য
    কেরোসিন কিনেছিলেন।দোকান
    দার
    লোকটি বললো, ‘আমি তাকে বলতে
    শুনেছি জীবনে অনেক পাপ করেছি,
    দেখি এই ভালো কাজের বিনিময়ে
    আল্লাহ আমাকে মাফ করেন কিনা ?
    জানাযার একেবারে পিছন থেকে একটা
    ছেলের কান্নার আওয়াজ পাওয়া গেল।
    এই
    ছেলেটিই হল সেই কোরআন পাঠ করা
    ছেলেটি। সে উপস্হিত সবাইকে উদ্দেশ্য
    করে
    বললো, ‘আজ রাতে আমি স্বপ্নে
    দেখেছি, যিনি আমাকে কোরআন পাঠ
    করার জন্য এক
    টিন কেরোসিন কিনে দিয়েছিলেন
    তিনি বিশ্ব নবীর সাথে জান্নাতে
    প্রবেশ করছেন’।

  43. আমাদের ইসলামী. পেজে like দাও this page … ইসলাম ধর্ম প্রচার … like this page … ইসলাম ধর্ম প্রচার

আপনার মন্তব্য লিখুন