মসজিদের আদব

1
4220

238

লেখক: আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান

ইসলামে মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যান্য ধর্মের উপাসনাগৃহগুলোর মত মসজিদ নিছকই কোন উপাসনাগৃহ নয়। তাত্ত্বিক এবং ব্যাবহারিক ও ঐতিহাসিকভাবে তা এর থেকে ভিন্ন কিছু, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য-সমৃদ্ধ। মসজিদ ব্যক্তি মুসলমানের উপাসনার পবিত্র স্থান। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ নানা সামাজিক ভূমিকাও পালন করেছে। মসজিদ ছিল মুসলমানদের প্রধান শিক্ষালয়। সামাজিক আদালত। এগুলো নিছক কোন প্রতীকী ব্যাপার নয়। যে জাতির উপাসনাগৃহ হয় তার শিক্ষালয় ও আদালত, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধর্মপালন সে জাতির জন্য অনেক সহজ ও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠে। অন্যান্য ধর্মে তার উপাসনা ক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ একটি ধর্মশ্রেণী। এই ধর্মগুলোর ইতিহাসে, এর ফলে, বিভিন্ন ধরনের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর একটি বিমূর্ত উদাহরণ খৃষ্টধর্মের চার্চ ব্যবস্থা।

কিন্তু ইসলামে এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের কোনো ধারণা ও ইতিহাস নেই। খুবই অর্থপূর্ণভাবে ইসলাম মনে করে মসজিদ পবিত্রমত ঘর। যে কোনো মুসলমান এই ঘরের নির্মাণ করে, তা আবাদ করে বিশেষ সওয়াব হাসিল করতে পারে। মসজিদ নির্মাণ ও আবাদের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এবং ইসলাম মনে করে বিশাল সুরম্য স্থাপত্য নির্মাণ নয়, সালাত আদায় ও জিকিরের মাধ্যমে মসজিদকে জীবন্ত রাখাই মূলত মসজিদ নির্মাণ বা আবাদ করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, মুসলিম সমাজে মসজিদ আর এই গুরুত্ব বহন করছে না। মসজিদ তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়েছে। এর প্রধান কারণ ইসলামে মসজিদের অবস্থান কী? মুসলিম সমাজে মসজিদ কী ভূমিকা পালন করবে, মসজিদের আদাব বিধানাবলী — এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও জ্ঞানের অভাব। এখানে মূলত সংক্ষেপে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

মসজিদের অবস্থান

ইসলামের ভাবনায় মসজিদের বিশেষ ও অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্ব নানা কারণ ও পেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল:—

এক. মসজিদ আল্লাহর ঘর, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘কোন সম্প্রদায় যখন আল্লাহর ঘরে একত্রিত হয়।‘ [মুসলিম:হাদীস নং ৪৮৬৭] আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেন: “এবং মসজিদ মূলত আল্লাহর। সুতরাং আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডেক না।” [জ্বিন : ১৮]। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে মসজিদের সম্মান ও পবিত্রতাকে শীর্ষাবস্থান দেয়ার উদ্দেশেই সম্মানসূচক ভাষায় মসজিদকে আল্লাহর ঘর বলে ডাকা হয়েছে।

দুই. মসজিদ পৃথিবীতে সর্বোত্তম জায়গা এবং আল্লাহ তা‌আলার সবচেয়ে প্রিয় স্থান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ, আর সবনিকৃষ্ট জায়গা।‘ [ মুসলিম: হাদীস নং ১০৭৬]

তিন. মসজিদ ফরয সালাত আদায়ের স্থান, যা ইসলামের দ্বিতীয় ভিত্তি।

চার. মুসলিম সমাজের সদস্যরা প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে সমবেত হয় এবং পরস্পরের সাথে পরিচিত হয়। এভাবে সমাজের অন্যসব সদস্যদের সাথে একটি পুত-হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলায় মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পাচ. ইসলামে মসজিদের যে বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব, তার অন্যতম প্রমাণ মদিনায় হিজরতের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিষয়টির প্রতি সর্বপ্রথম মনোযোগ আরোপ করেন, তা ছিল মুসলমানদের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করা। আর এভাবেই স্থাপিত হয়েছিল মদীনার প্রথম মসজিদ।

মসজিদ নির্মাণের ফযীলত

ইসলাম মুসলমানদেরকে ব্যাপকভাবে মসজিদ নির্মাণে উৎসাহিত করেছে, তার জন্য বিশেষ ছাওয়াব ঘোষণা করেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘যে আল্লার সন্তুষ্টির উদ্দেশে মসজিদ তৈরি করলো আল্লাহ তা‌আলা তার জন্য জান্নাতে মসজিদের মত একটি ঘর তৈরি করে দিবেন।‘ [তিরমিযী :হাদীস নং ২৯২]

সঠিক নিয়তে মসজিদ নির্মাণ করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে- হাদীসটি প্রকারান্তরে এই সুসংবাদই বহন করছে। তবে ইসলামের ভাবনায় বস্তুগতভাবে মসজিদ নির্মাণ ও আবাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে অর্থগতভাবে তা অবাদ করা। আর মসজিদের সেই প্রকৃত নির্মাণকর্ম হল সালাত, যিকির ইত্যাদির মাধ্যমে মসজিদ আবাদ রাখা। মসজিদের এই প্রকৃত আবাদকারীর জন্য ইসলামে অনেক পুরস্কারের কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন (যে সকাল বিকাল মসজিদে যায়, প্রত্যেকবার যাতায়াতের বিনিময়ে জান্নাতে তার জন্য এক একটি ঠিকানা তৈরি করা হয়।)

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: “তারাই তো আল্লাহর মসজিদ আবাদ করে, যারা ঈমান আনে, আল্লাহ ও আখেরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [ সূরা তাওবা: ১৮]

মসজিদের বিধানাবলী :

মসজিদের অনেক আদাব ও বিধান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হল।

১. কারুকার্য বাদ দিয়ে বিল্ডিং সুন্দর বানানো, কেননা কারুকার্য করা একটি বিদ্‌আত কাজ। এতে নামাজীর মনোযোগ নষ্ট হয় এবং মসজিদ নির্মাণ নিয়ে সমাজে অহংকারমূলক প্রতিযোগিতার প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ে। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আমাকে মসজিদ সাজাতে নির্দেশ দেয়া হয়নি। ইবনে আব্বাস আরো বলেন, তারা অবশ্যই মসজিদসমূহ সাজাবে, যেমন ইহুদী ও খৃষ্টানরা করেছে।

ইমাম বোখারী রা. বলেন, উমার রা. মসজিদ বানাতে নির্দেশ দিলেন এবং বলেলেন, আমি মানুষকে বৃষ্টি থেকে হিফাজত করছি। সাবধান! লাল ও হলুদ রং করবে না। মানুষ ধোঁকায় পড়ে যাবে। আনাস রা. বলেন, মসজিদ বানানোর ব্যাপারে মানুষ প্রতিযোগিতা করবে, কিন্তু খুব কম লোকই মসজিদ আবাদ করবে।

২. কবরস্থানে মসজিদ তৈরি করা কিংবা মসজিদে কবর বানানো হারাম। কেননা কবরের তাযীম-সম্মান এমনকি ইবাদত শিরককর্মে নিপতিত হওয়ার মাধ্যম বনে যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: ‘আল্লাহ তাআ’লার অভিশাপ ইহুদি ও খৃষ্টানদের উপর তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে।‘ [ বুখারী ও মুসলিম ]

জুন্দুব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পূর্বে পাঁচটি অসিয়ত শুনেছেন, তন্মধ্যে একটি হল কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা বিষয়ে হুঁশিয়ারি। বর্ণনায় এসেছে: ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন তোমাদের পূর্ববর্তীরা নবী ও সৎ লোকদের কবরকে মসজিদ বানাতো। সাবধান! তোমরা কবরকে মসজিদ বানিও না। আমি তোমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করছি। কবরস্থানে জানাজার সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত বৈধ নয়।‘ [মুসলিম]

৩. মসজিদ সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মসজিদ অপবিত্র করা বা কষ্টদায়ক জিনিস সেখানে রাখা হারাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: ‘মসজিদে থুতু ফেলা অন্যায়, তার প্রতিকার হলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া।‘ [ নাসায়ী : হাদীস নং ৭১৫] যেখানে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া সম্ভব নয়, সেখান থেকে দূর করে ফেলা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম এ-রূপই করেতন ।

৪. মসজিদে ধীরে-সুস্থে ও শান্তভাবে যাওয়া। তাড়াতাড়ি বা দৌড়িয়ে না যাওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাতে আসবে অবশ্যই ধীরস্থিরতা বজায় রাখবে । যে-টুকু পাবে আদায় করবে। আর যে-টুকু পাবেনা তা পূর্ণ করবে।‘ [বুখারী : হাদীস নং ৫৯৯]

৫. মসজিদে প্রবেশ করতে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে। বের হবে বাম পা দিয়ে। আনাস রা. বলেন : সন্নত হল যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে। আর যখন বের হবে বাম পা দিয়ে বের হবে।
প্রবেশের এবং বের হবার দোয়া পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

إذا دخل أحدكم المسجد فليقل اللهم افتح لي أبواب رحمتك وإذا خرج فليقل اللهم إني أسألك من فضلك. رواه مسلم : 1165

৬. মসজিদে আগে যাওয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের প্রতি আগ্রহী থাকা- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন: ‘যদি মানুষ জানতে পারত, আযান এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের মধ্যে কি ফজিলত, আর তা লটারি ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব না হত, তবে তার জন্য লোকেরা অবশ্যই লটারি করত। আর যদি জানতে পারত মসজিদে আগে আসার মধ্যে কি ফযীলত, তাহলে তার জন্য প্রতিযোগিতা করে আসত।‘ [বুখারী : হাদীস নং ৬১৫] আর যিনি মসজিদে আগে আসবেন, কোনো কারণ ছাড়া তার প্রথম কাতার বাদ দেয়া উচিত নয়। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রা. বলেন, যে ব্যক্তি আগে আসল এবং প্রথম কাতার বাদ দিয়ে বসল, সে শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করল।

সালাতে দেরি করে আসার দ্বারা বড় কল্যাণ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘তোমরা আগে এসো এবং আমার একতেদা করো। আর তোমাদের পরে যারা আসবে তারা তোমাদের পিছনে দাঁড়াবে। যেসব মানুষেরা দেরি করতে থাকবে আল্লাহ্ তাদেরকে পিছিয়ে দিবেন।‘ [মুসলিম: হাদীস নং ৬৬২]

সালাত আদায়ের উদ্দেশে মসজিদে আগে আসার উপকারিতা অনেক — জামাআত প্রথম থেকে পাওয়া, কুরআন তিলাওয়াত ও নফল সালাত আদায়ের সুযোগ। ফেরেশতাদের দোয়া লাভ; কেননা ফেরেশতাগণ এরূপ ব্যক্তির জন্য ক্ষমার দোয়া করতে থাকেন। সালাতের অপেক্ষায় থেকে সালাতের ছাওয়াব অর্জন। কারণ সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকা যেন মূল সালাতেই নিমগ্ন থাকা।

৭. মসজিদে প্রবেশকারী দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় ব্যতীত বসবে না। আবু কাতাদাহ আনসারী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, দুই রাকাত সালাত আদায় না করে সে-যেন না বসে।‘ [মুসলিম: হাদীস নং ১০৯৭]

ইমাম জুমুআর খুৎবা দেয়া অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে সংক্ষেপে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে। যাবের রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে আর ইমাম খুৎবাবস্থায় থাকবেন, তাহলেও যেন দুই রাকাআত সালাত সংক্ষেপে আদায় করে নেয়।

মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা, সালাতরত ব্যক্তি বা কুরআন পাঠককে বিরক্ত করা মাকরূহ। চাই তা সাধারণ কথা বলার কারণে হোক বা উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করার কারণে হোক। পার্শ্ববর্তীজনকে বরং কষ্ট দেয়াই অপরাধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সালাত আদাকারী তার প্রভুর সাথে গোপনে কথা বলে। তাই, সে কী বলছে তার প্রতি খেয়াল রাখা উচিত । তোমরা কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে একে অন্যের উপর উচ্চ শব্দ করোনা।

৮. মুক্তাদী সর্বদা ইমামের অনুসরণ করবে। কোনো কার্য ইমামের আগে অথবা একেবারে সাথে সাথে আদায় করবে না। আবার অনেক বিলম্বেও আদায় করবে না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘ইমাম বানানো হয়েছে তার অনুসরণের জন্য। অতঃপর তোমরা তার সাথে বিরোধ করো না। সে যখন আল্লাহু আকবার বলে তোমরাও আল্লাহু আকবার বলো। সে যখন রুকু করে, তোমরাও রুকুতে যাও । সে যখন سمع الله لمن حمده বলে, তোমরা اللهم ربنا و لك الحمد বলো। সে যখন সেজদা করে, তোমরাও তখন সেজদা করো। যখন বসে সালাত আদায় করে, তোমরাও সকলে বসে সালাত আদায় কর।‘ [ বুখারী : হাদীস নং ৩৬৫] ইমামের পূর্বে কোন কাজ করা হারাম হওয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সে ব্যক্তি তার মাথা ইমামের পূর্বে উঠিয়ে ফেলে তার কি এ-ভয় নেই যে আল্লাহ তাআ’লা তার মাথাকে গাধার মাথা বানিয়ে দিবেন কিংবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতি বানিয়ে দিবেন।‘ [মুসলিম : হাদীস নং ৬৪৭]

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

1 COMMENT

  1. “আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ, আর সবনিকৃষ্ট জায়গা ??????। [ মুসলিম: হাদীস নং ১০৭৬]”এখানে “বাজার” শব্দটি বসবে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন