ইসলামে ‘তাকওয়া’র স্বরূপ ও সমাজ জীবনে এর প্রভাব~ পর্ব~ 3

1
3093

172

লিখেছেনঃ ড. মোঃ ছানাউল্লাহ ।  ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ ইবনে গাফফার

পর্ব~ ১ | পর্ব~ ২ | পর্ব~ ৩

তাকওয়া’র স্তরসমূহ

‘তাকওয়া’ ‘বেঁচে থাকা’ অর্থে ব্যবহৃত হলে এর তিনটি স্তর পরিলক্ষিত হয়।

প্রথম স্তর: হল কুফর ও শির্‌ক থেকে বেঁচে থাকা। এ অর্থে একজন সাধারণ মুসলিমকেও মুত্তাকী বলা যায়; যদিও তার থেকে গুনাহ্ প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ অর্থ বুঝানোর জন্য পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় মুত্তাকূণ, মুত্তাকীন ও তাকওয়া শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।

দ্বিতীয় স্তর: যা প্রকৃতপক্ষে কাম্য, তা হল এমন সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা যা আল্লাহ্‌ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের পছন্দনীয় নয়। কুরআন ও হাদীসে তাকওয়ার যেসব মর্যাদা ও কল্যাণ প্রতিশ্রুত হয়েছে তা এ স্তরের তাকওয়ার উপর ভিত্তি করেই হয়েছে।

তৃতীয় স্তরটি তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। সকল নবী-রাসূলগণ ও তাঁদের বিশেষ উত্তরাধিকারী ওলীগণ এ স্তরের তাকওয়া অর্জন করে থাকেন। এ স্তরের তাকওয়া হল অন্তরকে আল্লাহর ব্যতীত সবকিছু থেকে মুক্ত রাখা [93]।উল্লেখিত মতের সাথে একমত পোষণ করে কাযী নাসিরুদ্দীন বায়যাবী (র) বলেন, ‘তাকওয়া’র তিনটি স্তর রয়েছে:

[১] শিরক থেকে মুক্ত হয়ে চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা।

[২] যা করলে পাপ হয় অথবা ছেড়ে দিলে পাপ হয় এমন সবকিছূ থেকে দূরে থাকা। কারো কারো মতে সামান্য ও ছোট-খাটো ক্রটি-বিচ্যুতি থেকেও বেঁচে থাকা। আর ইসলামী শরী’আতে এটিই তাকওয়া নামে পরিচিত। পবিত্র কুরআনের বাণী ‘আর যদি গ্রামের অধিবাসীরা ঈমান গ্রহণ করে ও তাকওয়া অবলম্বন করে’ বলে ‘তাকওয়া’র এ অর্থটি গ্রহণ করা হয়েছে।

[৩] নিজের অন্তরকে সত্য-সঠিক তথা আল্লাহ্‌ তা‘আলা থেকে ফিরিয়ে রাখে এমন কিছু থেকে পুত-পবিত্র থাকা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহমুখী হওয়া। এটিই হচ্ছে প্রকৃত তাকওয়া যা আল্লাহর বাণী ‘তোমরা আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় কর’ দ্বারা বুঝানো হয়েছ। [94]

তাফসীর জালালাইন এর টীকায়ও ‘তাকওয়া’র স্তর-বিন্যাস তিন প্রকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

[১] সাধারণের তাকওয়া। তা হল কুফর থেকে বেঁচে থাকা।

[২]খাছ লোকদের তাকওয়া, আর তা হচ্ছে আল্লাহ্‌র সকল নির্দেশসমূহ পালন করা এবং তাঁর সকল নিষেধাজ্ঞা থেকে দুরে থাকা।

[৩] বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের তাকওয়া। আর তা হল আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখে এমন সবকিছূ থেকে বেঁচে থাকা [95]

এতে বুঝা যায় যে, পূর্ণ ইসলামই প্রকৃত পক্ষে তাকওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সা:)-এর পূর্ণ আনুগত্য করা এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাককেই তাকওয়া বলা হয়। [96]

“বস্তুত তারাই মুত্তাকী, যাদের ঈমান ও ‘আমল দুটিই পূর্ণাঙ্গ। আর ঈমান ও আমল এ দুয়ের সমন্বয়ই ইসলাম”। [97]

ইমাম আল-গাযালী (র) তাকওয়ার চারটি স্তর বর্ণনা করেছেন।

{এক}শরী’আতে যে সকল বস্তুকে হারাম করা হয়েছে, আল্লাহ্‌র ভয়ে সকল বস্তু থেকে বিরত থাকা। যেমন, মদ্যপান, ব্যভিচার, জুয়াখেলা ও সুদ খাওয়া প্রভৃতি হারাম কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা। এটি সাধারণ মুমিনের তাকওয়া। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় মু’মিন।

{দুই} হারাম বস্তুসমূহ হতে বিরত থাকার পর সন্দেহযু্ক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতেও দূরে থাকা। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় সালিহ। তিন. সকল হারাম বস্তু ও সন্দেহযু্ক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকার পর আল্লাহ্‌র ভয়ে অনক সন্দেহবিহীন হালাল বস্তুও পরিত্যাগ করে, এ শ্রেণীকে মুত্তাকী বলা হয় । চার. তিন শ্রেণীর তাকওয়া আয়ত্ত করার পর এমন সকল হালাল বস্তু পরিত্যাগ করা যা ইবাদাতে কোনরূপ সহায়তা করে না। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় ‘সিদ্দীক’। [98]

সমাজ জীবনে তাকওয়ার প্রভাব

সামাজিক জীবন দর্শনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তাকওয়ার পোশাক যারা আচ্ছাদিত তাদের কর্তৃক কোন রকম অন্যায় ও অসৎ কাজ হতে পারে না। অশ্লীলতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, সুদ, ঘুষ, সম্পদ লুটপাট, কাউকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করণ, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত-মুস্তাহাবরূপে নির্ধারিত হাক্কুল্লাহ (আল্লাহর অধিকার) ও হাক্কুল ইবাদ (মানুষের প্রতি মানুষের ও সৃষ্টিজগতের প্রতি মানুষের যাবতীয় দায়িত্ব-কর্তব্যসমূহ) পালন উদাসীন থাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থেকে মুত্তাকীগণ জীবন যাপন করে। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি দেশ ও জাতির উন্নয়নে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন: “আল্লাহ্‌ তাদেরই সঙ্গে আছে যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ন ।” [99]

অন্যত্র বলা হয়েছে: “আল্লাহ্‌ মুত্তাকীদের অভিভাবক-বন্ধু ”। [100]

তাকওয়া বা আন্তরিকতাবিহীন কোন কাজই সফলতা বয়ে আনে না। যে কোন কাজের প্রাণ হল তাকওয়া। বিশেষ করে ইবাদত হিসাবে যা কিছু করা হয় তা আল্লাহ্‌র কাছে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য তাকওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ, “আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের কুরবানীই গ্রহণ করে থাকে। [101]

অন্যত্র বলা হয়েছে: “আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না এগুলোর (কুরবানীর পশুর) গোশত এবং রক্ত, বরং তাঁর কাছে পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া-মনের একাগ্রতা।” [102]

মূলত তাকওয়ার গুণ অর্জনের জন্যই ইসলামের যাবতীয় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জসহ সকল মৌলিক কাজ অবশ্য পালনীয় করে দেয়া হয়েছে কেবল মানুষের মধ্যে সুপ্ত তাকওয়া [103] গুণকে সমুন্নত করার জন্য।[104] যে মানুষ যতবেশী তাকওয়ার অধিকারী হবে সে জাগতিক জীবনে সমাজে ততবেশী মর্যাদা ও সম্মানের যোগ্য হবে এবং পরকালে আল্লাহর কাছে বেশী সম্মনিত হবে।[105]

আর কে কত বেশী মুত্তাকি তা নিয়ে আত্মপ্রশংসা করার কোন সুযোগ নেই। কেননা আল্লাহই ভাল জানেন কে কত বেশী মুত্তাকী।[106]

যারা তাকওয়ার গুণ অর্জন করতে পারেন তারা আল্লাহর ভালবাসা লাভে ধন্য হন, আল্লাহ তাদের অতিবাহিত হয় বলে পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। [107]

ইমাম ফখরুদ্দীন আল-রাযী (রা:) বলেছেন: মুত্তাকীর মর্যাদা বর্ণনায় “হুদাল লিল মুত্তাকীন” (পবিত্র কুরআন মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক) আয়াতাংশটি ছাড়া যদি আর একটি আয়াতও না থাকত তবে তাদের মর্যাদা বর্ণনায় এটিই যথেষ্ট ছিল। কারণ তাঁর মতে পবিত্র কুরআন মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক। 

অন্য আয়াত: “আল-কুরআন হুদাল লিন নাস” অর্থাৎ‘পবিত্র কুরআন মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক।[108]” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এটি সর্বজন বিদিত যে, কুরআন যার উপর অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর আহবান ছিল বিশ্বজনীন। [109]

এতে বুঝা যাচ্ছে যে, সকল মানুষই মুত্তাকী তথা সবার মধ্যেই তাকওয়া রয়েছে। যার মধ্যে তাকওয়া নেই, সে যেন মানুষই নয়।[110] যামাখশারী (রা:) আল্লাহর বাণী “অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তাকওয়া অবলম্বন কর এবং নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন কর এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মু’মিন হও” [111] এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতে মহান আল্লাহ্ তাকওয়া অবলম্বন, নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করাকে ঈমানের অপরিহার্য অংশ ও অবিচ্ছেদ্য দাবী বলে নির্ধারণ করেছেন। [112]

সুতরাং তাকওয়া ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ নয়। আল্লাহর হক ও বান্দার হক উভয়টির মহত্ব ও গুরুত্ব বুঝানোর জন্য সূরা আন- নিসার প্রথম আয়াতটি শুরু করা হয়েছে তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে এবং শেষও করা হয়েছে তাকওয়ার মাধ্যমে পরস্পরিক লেন-দেন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে। সুতরাং মানুষের উচিত জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাকওয়া অবরম্বন করা।[113]

তাকওয়ার মৌলিকত্ব বাহ্যিকতার চেয়ে ভিতরটায় সম্পৃক্ত বেশী। গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে মহান আল্লাহকে ভয় করার মানসিকতা গড়ে তোলা এবং জীবনের সকল কর্মকাণ্ড তথা ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পূণ্য, ঠিক-বেঠিক, হালাল-হারাম যা-ই করুক না কেন তা লিপিবদ্ধকরার জন্য ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে। ছোট-বড় কোন কিছুই তার খতিয়ানে লেখা থেকে বাদ যাচ্ছে না। এক সময় সে তার কৃত সমুদয় কর্মকান্ড স্বচক্ষে দেখতে পাবে। এই অনুভূতি নিয়ে জীবন পরিচালনা করাই হল তাকওয়ার দাবী। তাকওয়া বাহ্যিক আড়ম্বরতা ও লোকিকতার কোন স্থান নেই। “মানুষের বাহ্যিক অবয়ব এবং সম্পদের প্রতি আল্লাহ তাকান না; বরং তিনি দেখেন মানুষের কর্মকাণ্ড এবং মন-মানসিকতা। [114]

মানব দেহের কোন স্থানে তাকওয়ার অবস্থান সে সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা:)-এর সুস্পষ্ট বক্তব্য হল “তাকওয়া এখানে এবং তিনি তাঁর বুকের দিকে ইশারা করলেন।” [115] অর্থাৎ যে মন বা অন্তকরণ মানুষের সকল কর্মকাণ্ডের চালিকা শক্তি সেই মনের শুদ্ধতাই হচ্ছে তাকওয়া। কেননা মানব দেহের এ অংশটি সুস্থ থাকলে পুরো দেহই সুস্থ-স্বাভাবিক থাকে বলে হাদীসে প্রমাণ রয়েছে।[116]

পরকালে মুত্তাকীগণই জান্নাত লাভে ধন্য হবেন। “মুত্তাকীগণ থাকবেন প্রস্রবণ-বহুল জান্নাত। তাঁদেরকে বলা হবে তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তাতে প্রবেশ কর…..”। [117]

 

তাকওয়ার ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও সমাজ জীবনে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে মানব মনে ইতিবাচক মুল্যবোধ সৃষ্টি করে এবং তাকওয়ার অভাব মানব জীবনকে অস্থির, নিরাপত্তাহীন, পঙ্কিল ও দুর্বিসহ করে তোলা। কেননা, উপর্যূক্ত আলোচনায় দেখা যায়, তাকওয়া শুধু আল্লাহ্‌ ভীতির মাধ্যেই সীমিত নয়; বরং সত্য সন্ধান, সত্য গ্রহণ, সত্যের উপর সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকা, আল্লাহ্‌ তা‘আলাকে ভয় করা, আল্লাহর ভয়ের ভিত্তিতে দায়িত্ব সচেতনতা ও দায়িত্ব সচেতনতার সাথে কর্তব্য সম্পাদনই হচেছ তাকওয়া।

অর্থাৎ মানব জীবনের সকল কর্মকান্ড ও তৎপরতাকে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পথে পরিচালনা করা, আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুযায়ী সকল কাজ সম্পাদন করা, আল্লাহ্‌ কর্তৃক নিষিদ্ধ পথ ও পন্থা পরিহার করা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকূলের কল্যাণ কামনা করা, সর্বোপরি জবাবদিহিতামূলক সচেতনতার সাথে দায়িত্ব পালন করাই প্রকৃত তাকওয়া। তাই নানা সমস্যায় জর্জরিত মুসলিম জাতির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাঙ্খিত কল্যাণ লাভের জন্য প্রয়োজন মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকওয়া অর্জন এবং তাকওয়ার ভিত্তিতে জীবন গঠন। আমাদের সমাজে যে দিন থেকে পূর্ণরূপ প্রকৃত তাকওয়া সৃষ্টি হবে সেদিনই এ বিশৃঙ্খলাপূর্ণ সমাজে শৃঙ্খলা ফিলে আসবে এবং সমাজ হবে সুখে-শান্তিতে সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও প্রাণবন্ত।

পর্ব~ ১ | পর্ব~ ২ | পর্ব~ ৩


[93]. মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ) অনুবাদ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, তাফসীর মাআরেফুল কোরআন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯১।
[94]. কাযী নাসির উদ্দীন আবদুল্লাহ্ ইবন ওমর ইবন মুহাম্মদ আল-বায়যাবী, প্রাগুক্ত, পৃ. 16.
[95]. জালালুদ্দীন আল সুয়ূতী, তাফসীর জালালাইন, সিঙ্গাপুর : এদারা নশর ওয়া ইশা’আতে ইসলামিয়্যাহ্, তা.বি., পৃ. ৪, টীকা নং ২০।
[96]. মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ) অনুবাদ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, তাফসীর মাআরেফুল কোরআন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯১।
[97]. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৪।
[98]. ইসলামী বিশ্বকোষ, প্রাগুক্ত, পৃ. ১০৮-১০৯।
[99]. আল কুরআন, ১৬ : ১২৮।
[100]. আল কুরআন, ৪৫ : ১৯।
[101]. আল কুরআন, ৫: ২৭।
[102]. আল কুরআন, ২২: ৩৭।
[103]. অতঃপর তিনি (আল্লাহ) উহাকে (নফ্‌স তথা মানুষকে) ফুজুর-অসৎকর্মের এবং তাকওয়ার-সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। আল কুরআন, ৯১ : ৮।
[104]. দ্রষ্টব্য আল কুরআন, ২: ২-৪, ১৮৩, সূরা হাজ্জ : ৩২, সূরা তাওবা ৯ :১০৩-১০৪, তাদের (পাপীদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তাদের নয়, যারা তাকওয়া-সাবধানতা অবলম্বন করে; তবে উপদেশ দেওয়া তাদের কর্তব্য যাতে তারাও সাবধানতা অবলম্বন করে। (আল-কুরআন, ৬ : ৬৯)
[105]. আল কুরআন, ৪৯ : ১৩। “হযরত আবূ হুরায়রা ৯রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)-কে জিজ্ঞাস করা হল, কোন ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মাণিত-মর্যাদাবান? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যে বেশী তাকওয়ার অধীকারী আল্লাহ্‌র কাছে সেই বেশী সম্মানিত-।” মুহাম্মদ ইবন ইসমাইল আল বুখারী, সহীহ আল বুখারী, দেওবন্দ, মাকতাবা মোস্তফাঈ, তা.বি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৭৯।
[106]. আল কুরআন, ৫৩ : ৩২।
[107]. আল কুরআন, ৬৫ : ২, ৩ ও ৫
[108]. আল কুরআন, ২ : ১৮৫।
[109]. আল কুরআন, ৭ : ১৫৮; সূরা সাবা ৩৪ : ৪৮; ২১ : ১০৭।
[110]. ইমাম ফখরুদ্দীন আল রাযী, তাফসীর কবীর, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৬৮।
[111]. আল কুরআন, ৮: ০১।
[112]. মাহমূদ ইবন উমার আল যামাখশারী, আল-কাশ্‌শাফ আন হাক্বায়িক্বি আল তানযীল ওয়া উয়ূনি আল আক্বাবীল ফী ওযূহি আল তাবীল, প্রাগুক্ত, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৫।
[113]. মুহাম্মদ আল আস-সাবুনী, রাওয়ায়িউল কায়ান তাফসীর আয়াত আল আহকাম নিম আল কুরআন, সৌদি আরব, খণ্ড ১. পৃ,৪১৯।
[114]. সহীহ মুসলিম, উদ্ধৃত-আবু মুহাম্মদ আল হুসাইন ইবন মাসউদ আল-বগবী শারহুস সুন্নাহ, , বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, প্রথম প্রকাশ, ১৪১৪/১৯৯২, খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৪।
[115]. সহীহ মুসলিম, উদ্ধৃত-আবু মুহাম্মদ আল হুসাইন ইবন মাসউদ আল-বগবী শারহুস সুন্নাহ, প্রগুক্ত।
<aid=”a116″ href=”#b116″>[116]. দেহে কাল্‌ব গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা)বলেন. “দেহের মধ্যে এমন একটি মাংশপিণ্ড রয়েছে, তা যখ ন সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকে, সমস্ত দেহই সুস্থ্য ও রোগ শুণ্য থাকে। আর তা যখন রোগাক্রান্ত ও বিপর্যস্থ হয়ে পড়বে তখন সমস্ত দেহটিই রোগাক্রান্ত-বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। তোমরা জেনে রেখো যে, তা-ই হলো কলব (আত্ম)।” (মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল আল-বুখারী, সহীহ আল বুখারী, দেওবন্দ, মাকতাবা মুস্তফাই, তা.বি.,খণ্ড ১, পৃ. ১৩।
[117]. আল কুরআন, ৩: ১৩৩-১৩৮; ৪ : ৭৭; ৭ :১২৮, ১৬৯; ১২ : ৫৭, ১০৯; ১৩ : ৩৫; ১৫ : ৪৫-৪৮; ১৯ : ৬৩; ৯০; ২৮ :৮৩; ৩৮ : ৪৯;৪৩ : ৩৫; ৪৪: ৫১; ৪৭ : ১৫; ৫০: ৩১-৩৫; ৫১ : ১৫-১৯; ৫২:৫৪-৫৫; ৭৭ : ৪১-৪৪; ৭৮: ৩১-৩৬।

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন