ঈদে যে ভুলগুলো হয়

17
4483

প্রশ্ন:

দুই ঈদে মুসলিমদের ভুল এবং খারাপ কাজগুলোর ব্যাপারে যে সমস্ত সতর্কবাণী দেয়া হয় সেগুলো কি কি? আমরা কিছু কাজ দেখি যেগুলো আমরা দোষ হিসেবে অভিযুক্ত করি যেমন – ঈদের সালাতের পরে কবর যিয়ারত করা এবং ঈদের রাতে রাত জেগে ইবাদাত করা।

উত্তর:

 সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। ঈদ ও তার আনন্দ সমাগত হওয়ার সাথে সাথে আমরা কিছু জিনিসের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে চাই যেগুলো মানুষ আল্লাহ’র শারী’আতে এবং রাসূলুল্লাহ’র (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) সুন্নাহকে না জেনে করে থাকে। যেমনঃ

১) ঈদের দিন সারা রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিক্রম করার বিধান আছে এরূপ বিশ্বাস পোষণ করা:

কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, ঈদের  দিন সারারাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিক্রম করার বিধান আছে। এটা একধরণের নতুন প্রবর্তিত বিষয় (বিদ’আহ) যা কিনা রাসূলুল্লাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) থেকে প্রমাণিত নয়। বরং এটা যঈফ (দুর্বল) হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যাতে বলা আছে, “যে ঈদের রাতে জেগে থাকবে, তার হৃদয় কখনো মারা যাবে না যেদিন সব হৃদয় মারা যাবে।” এই হাদীসটি সাহীহ নয়। এটা বর্ণিত হয়েছে দুইটি ইসনাদের মাধ্যমে, যার একটি হল মাউযূ (জাল) এবং অপরটি হল যাইফুন জিদ্দান (খুবই দুর্বল)। দেখুন [আল-আলবানীর ‘সিলসিলাত আল-আহাদীস আল-যঈফাহ ওয়া’ল-মাউযূ’আহ ’,(৫২০,৫২১)]

তাই অন্য রাতগুলোকে বাদ দিয়ে ঈদের  রাত্রিকে ক্বিয়ামের জন্য বাছাই করার কোন বিধান নেই, তবে সে ছাড়া যার ক্বিয়ামের অভ্যাস আছে, সেই ক্ষেত্রে ঈদের  রাতে ক্বিয়াম করায় কোন দোষ নেই।

২) দুই ঈদের  দিনে কবর যিয়ারত করা:

এটা ঈদের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক, যা কিনা আনন্দ ও সুখের প্রকাশ, এবং তা রাসূল (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন)-এর শিক্ষা এবং পূর্ববর্তী সাহাবী ও তাবিঈগনের আচরনেরও (শিক্ষারও) বিরুদ্ধে যায়। সাধারণভাবে বলা যায় যে, কোন নির্দিষ্ট দিনে কবরস্থানে যাওয়া এবং তাকে একটি উৎসব বানিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নাবীর নিষেদ্ধাজ্ঞা আছে, যেমনটি আলিমগণ বলেছেন। আর এটি রাসূলের কবরকে ঈদ হিসেবে গ্রহন না করার সাধারণ নিষেদ্ধাজ্ঞার আওতায় পড়ে, কারণ, বিশেষ কিছু সময়ে ও পরিচিত  কিছু মৌসুমে যদি কবর যিয়ারত করতে চাওয়া হয় যার অর্থ দাঁড়ায় কবরকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করা,যেভাবে আলিমগণ বলেছেন। [দেখুন আল-আলবানীর ‘আহকাম আল-জানা’ইয ওয়া বিদা‘উহা ’ (পৃঃ ২১৯,২৫৮)]

৩) জামা’আহ (জামা‘আতে স্বালাত) পরিত্যাগ করা এবং দেরিতে ঘুমানো ও  সালাত  না পাওয়া:

দুর্ভাগ্যক্রমে, আপনি দেখবেন যে কিছু মুসলিমের সালাত ছুটে যায় এবং জামা’আহ পরিত্যাগ করে। নাবী (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) বলেছেনঃ “আমাদের এবং তাদের মধ্যে চুক্তি হল সালাত , যে তা পরিত্যাগ করবে সে কুফরী করল।” [বর্ণিত হয়েছে আত-তিরমিযী হতে, (২৬২১);আন-নাসা’ঈ (৪৬৩) সাহীহ আত-তিরমিযী তে আল-আলবানী একে সাহীহ বলেছেন।]

এবং তিনি বলেছেন: “মুনাফিক্বদের জন্য ‘ইশা’ এবং ‘ফাজর’ এর  সালাত  সবচেয়ে বোঝাস্বরূপ। তারা যদি জানত তার মধ্যে (কী কল্যান) আছে, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে (সেই দুই সালাতে) উপস্থিত হত। আর আমি চিন্তা করেছিলাম যে স্বালাতের আদেশ করব আর তা কায়েম করা হবে এবং একজন লোককে আদেশ করব যে লোকদের নিয়ে (ইমাম হিসেবে) সালাত  আদায় করবে, এরপর আমি আমার সাথে কিছু লোক নিয়ে যাবো যাদের সাথে কাঠের বোঝা থাকবে, সেই সমস্ত লোকদের কাছে যারা জামা‘আতের সালাতে উপস্থিত হয়নি , এরপর তাদের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিব।” [মুসলিম থেকে বর্ণিত(৬৫১)]

৪) সালাতের স্থানে, রাস্তাঘাট কিংবা অন্য কোন স্থানে পুরুষদের সাথে নারীদের একত্রিত হওয়া আর ঐ সব জায়গায় পুরুষদের সাথে তাদের ভিড় জমানো:

এতে আছে মহা ফিতনাহ ও বড় বিপদ। এ ব্যাপারে  ওয়াজিব হল নারী এবং পুরুষ উভয়কেই সতর্কবাণী দেয়া এবং যতটুকু সম্ভব প্রতিরোধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া। পুরুষ ও তরুনদের  পুরোপুরি চলে যাবার আগে নারীদের কখনোই সালাতের স্থান ত্যাগ করা উচিত নয়।

৫) কিছু নারীদের সুগন্ধি ও সাজগোজ করে পর্দা ছেড়ে বের হওয়া:

এই সমস্যাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারটিকে খুব হালকাভাবে নেয়। এ ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য আমরা কামনা করি। কিছু নারী যখন তারা তারাউয়ীহ (তারাবীহ) , ঈদের সালাত  আদায় অথবা অন্য জায়গায় বের হয় তখন তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরিধান করে এবং সবচেয়ে সুন্দর সুগন্ধি ব্যবহার করে আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথ দেখান। আর আল্লাহ’র রাসূল (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত  ও সালাম বর্ষণ করুন) বলেছেনঃ “যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং লোকজনের পাশ দিয়ে এমনভাবে যায় যাতে তারা তার সৌরভ উপলব্ধি করতে পারে সে একজন ব্যাভিচারিণী।” [বর্ণনা করেছেন আল-নাসা’ই (৫১২৬); আত-তিরমিযী (২৭৮৩); আল-আলবানী ‘সাহীহ আল-তারঘীব ওয়া আত-তারহীব’ (২০১৯) –এ একে  হাসান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।]

আবূ হুরাইরাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হোন) থেকে বর্নিত  যে তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ’র রাসূল (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) বলেছেনঃ “জাহান্নামবাসী দুটো শ্রেণী আছে যাদেরকে আমি দেখি নি। তারা এমন মানুষ যাদের কাছে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকে যা দিয়ে তারা লোকদের মারে এবং এমন নারী যারা কাপড় পরা স্বত্তেও বিবস্ত্র থাকে, নিজেরাও পথভ্রষ্ট এবং অপরকেও বিপথে পরিচালনা করে, তাদের মাথা হেলে যাওয়া উটের কুঁজের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এমনকি এর সৌরভও পাবে না, যদিও এর সৌরভ এই এই দূরত্ব থেকে পাওয়া যায়।” [মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে (২১২৮)]

নারীদের অভিবাবকদের অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করা উচিত তাদের স্বার্থে যারা তাদের আশ্রয়ে আছে এবং আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করা এবং ভরণ-পোষণ করার জন্য যে দায়িত্ব ওয়াজিব করেছেন তা সম্পাদন করা, কারণ আল্লাহ বলেছেনঃ “পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।” [সুরা নিসা ৪:৩৪]

সুতরাং, তাদের (নারীদের অভিভাবকদের) তাদের (নারীদের) উচিত তাদেরকে অবশ্যই সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং তাই দেখানো যা তাদের এই দুনিয়া ও আখিরাতে পরিত্রাণ ও নিরাপত্তার পথে পরিচালিত করবে, তাদেরকে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা থেকে দূরে রাখা এবং উৎসাহ যোগানো যাতে তারা আল্লাহ’র নিকটবর্তী হতে পারে।

৬) হারাম গান শোনা:

বর্তমানে মন্দ কাজগুলির মধ্যে যা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তা হচ্ছে গান বাজনা। এগুলো খুব ব‍্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষ এই ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নিচ্ছে। এটা এখন টিভি, রেডিও, গাড়িতে, ঘরে এবং মার্কেটগুলোতে চালু আছে। কোন শক্তি ও ক্ষমতা নেই আল্লাহ ছাড়া এ সব থেকে ফিরানোর । এমনকি মোবাইল ফোনও এই খারাপ জিনিস থেকে মুক্ত না। অনেক কোম্পানী আছে যারা মোবাইল ফোনে সর্বাধুনিক মিউজিক টিউন দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং এর সাহায্যে সঙ্গীত এখন মসজিদে প্রবেশ করেছে, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন এটা মহাবিপদ এবং খুবই মন্দ ব্যাপারগুলোর একটি যে আল্লাহ’র ঘরসমূহে (মাসজিদসমূহে) মিউজিক শুনতে পান। প্রশ্ন নং- 34217 দেখুন। এটা নাবী’র (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) কথার সত্যতা প্রমাণ করে: “আমার উম্মাতের মধ্যে কিছু লোক এমন থাকবে যারা ব্যাভিচার, সিল্ক, আ্যলকোহল এবং বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে।” [আল-বুখারী থেকে বর্ণিত।] প্রশ্ন নং- 5000, 34432 দেখুন।

তাই একজন মুসলিমের আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং তার জানা উচিত তার উপর আল্লাহ’র যে নি‘আমাত (অনুগ্রহ) আছে তার জন্য তার শোকর করা কর্তব্য। এটা কখনোই নি‘আমাতের শোকর করা নয় যা একজন, মুসলিম তার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করবে যিনি তার উপর অসীম নি‘আমাত বর্ষণ করেছেন। একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যাক্তি কিছু লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যারা ঈদের আনন্দে মত্ত হয়ে গর্হিত কাজ করেছিল, তখন তাদেরকে তিনি বললেন: “যদি তোমরা রামাদ্বানে ইহসান (ভালো করে) থাকো তাহলে এটা সেই ইহসানের শোকর করার কোন পথ নয়। আর যদি তোমরা রামাদ্বানে খারাপ করে থাকো, তাহলে আর-রাহমানের (পরম দয়াময়ের) সাথে যে খারাপ ব্যবহার করল, সে এমন করতে পারে না।”

আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।

রামাদান বিষয়ক সকল ফাইল – প্রবন্ধ, বই, অডিও/ভিডিও লেকচার ডাউনলোড করতে চাইলে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন – রামাদান বিষয়ক সকল ফাইল – প্রবন্ধ, বই, অডিও/ভিডিও লেকচার

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

17 COMMENTS

  1. Assalamulikum
    Thanks for nice and timely post.
    But i like to know what do you like to mean by “night of Eid”?
    So far I know as per islamic rule night comes first. so night comes first and followed bu eid day.and i also know that this night before the eid day is very special night like shobe kodor.
    Am I wrong?
    is anybody can clear me.pls pray for my kids and me.Ameen.

  2. MANY NEW INFORMATION ,I CAME TO KNOW FROM THIS ARTICLE ON EID.OUR COUNTLESS THANKS TO THIS WEBSITE.ISLAM OFFERS A DIFFERENT KIND OF ENTERTAINMENT.

    MAHASINA [email protected],KHAGRAGAR,RAJBATI,BURDWAN-4,INDIA

  3. ঈদের রাত জাগা সম্পর্কে হাদীছের ব্যাপারে শায়খ আলবানী ((রহ) একক মতামতের ভিত্তিতে কিহু ফায়সালা করা ঠিক হবে না। কারন হাদীছের শ্রেনী বিন্যাসে উনার কিছু কিছু ব্যাপারে ওলামা কেরামের আপ্ততি রয়েছে। হতে পারে এ ক্ষেত্রে উনি যা বলেছেন তা সঠিক। তবে এর জন্য আরও অন্যান্য হাদীছ বিশারদের মন্তব্য এখানে উল্লেখ করা উচিত। শায়খ আলবানী (রহ) এর কিছু কিছু মতামতের সাথে অধিকাংশ উলামা কেরাম একমত হতে পারেন নি। এ সমস্ত মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্যদের মতামতও শ্রদ্ধার সাথে তুলে ধরা দরকার। তবে এ সমস্ত মত পার্থক্য এমন বড় ধরণের নয় যে এ সমস্ত বিষয়ে আমরা উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারি। এ সমস্ত মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করব এবং যে আলেমদের কথা আমার কাছে সামঞ্জস্যপূর্ণ ম্নে হবে তার উপড় আমাল করব।

  4. Eide r ager rate e ibadat kora dosher kisu noy.. Borong Sowaber Kaj.. But er matra jeno beshi na hoy… Tahajjut, nofol namaz, kisu koran telwat kora jete pare… Kinut Sararat dhore Namaz Pore Porer din ghumiye kataben.. eta thik hobe na…

  5. Holy Prophet (s): He who keeps awake on the Night of Eid, his heart will not die on the day
    when the hearts [of others] will die. (Ibid. H. 783 from Tahdhib al-ahkam 6, 51, 119).

    Holy Prophet (s): He who keeps awake on the Nights of Two Eids (i.e. al-Fitr & al-Adhaa)
    expecting reward from Allah (muhtasiban lillah), his heart would not die on the day when hearts
    [of others] die (Ibid. H. 784 taken from Sunan ibn Maajah 1, 567, 1782). 

    QUESTION:
    How do we understand which hadith to follow/ write/ wrong and which is not? 
    SubhanAllah! may Allah guide us to the right way!!! really difficult for normal people to justify. :(

আপনার মন্তব্য লিখুন