ইসলামী বিচারব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা : প্রসঙ্গ সঊদী আরবে ৮ বাঙ্গালী যুবকের শিরোচ্ছেদ

19
2163

লেখক: আহমাদ ভাই

কিছুদিন আগে এই শিরোনাম দিয়ে সামহোয়ার ইন ব্লগে লিখেছিলাম। যখন ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় নাটোরের কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমানের হত্যাকারী দুর্বৃত্ত রাজনের কি ধরনের শাস্তি হওয়া দরকার এ নিয়ে সামু ব্লগাররা প্রবল রোষে মন্তব্য মন্তব্য করছিলেন এমনভাবে যে-

  • ‘না মরা পর্যন্ত গণধোলাই’…
  • ‘সব অঙ্গ এক এক করে কেটে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে’…
  • ‘সবার সামনে গুলি করে মারা কিংবা একবারে কতল’…
  • ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারা উচিৎ এবং সেটি সকল টেলিভিশনে বাধ্যতামূলক লাইভ
    টেলিকাস্ট করা হোক। আমি প্রশাসনে থাকলে সেটাই করতাম’….
  • ‘জনসম্মুখে ফাঁসি চাই। তার আগে মুক্ত গণধোলাই’….
  • ‘মিজানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেভাবে হত্যা করা হোক’…
  • ‘ডগ স্কোয়াডে দিতে হবে এবং কামড় খাওয়াতে হবে না মরা পর্যন্ত’…
  • ‘যতদ্রুত সম্ভব মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করতে হবে’…
  • ‘ট্রাকের পিছনে দড়ি বেঁধে সারাদেশে ঘুরাতে হবে যাতে তার বীভৎস চেহারা দেখে কেউ এমন কাজ করার আর চিন্তাও না করে। আমার ক্ষমতা থাকলে খোদার কসম আমি তাই করতাম ঐ ঘৃণ্য নরপশুদের’…
  • ‘প্রকাশ্য জনসম্মুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা উচিৎ যাতে ভবিষ্যতে আর কোন নরপশুর জন্ম না হয়’…।

আরো কত যে সব মন্তব্য রয়েছে তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

উপরোক্ত মন্তব্যগুলো পড়লে স্পষ্টতঃই বোঝা যায় এ মর্মান্তিক ঘটনা মানুষের মনে কিরূপ তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল। এমন কোন উচ্চতম শাস্তির কথা অবশিষ্ট নেই যা মন্তব্যদাতারা উল্লেখ করতে কসুর করেছেন। অথচ তাদের কেউই কিন্তু নিহত মিজানের আত্মীয় বা পাড়া-প্রতিবেশী নন। নিতান্তই অপরিচিত এসব লোকজন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব মন্তব্য করেছেন। একবার চিন্তা করুন, যে পরিস্থিতিতে একজন অনাত্মীয়-অপরিচিত ব্যক্তির অন্তরে নিহত ব্যক্তির জন্য এতটা প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয় সেখানে নিহত ব্যক্তির যারা একান্ত পরিবার-পরিজন তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে? কত তীব্র হতে পারে তাদের প্রতিক্রিয়া? অবশ্যই অবশ্যই বহুগুণ বেশি। নিশ্চয়ই তারা কামনা করবেন তাদের কল্পনায় ভাসা সর্বোচ্চ শাস্তিটাই।

প্রিয় পাঠক, এই প্রেক্ষাপট থেকেই চিন্তা করুন ইসলামী বিচারব্যবস্থার যৌক্তিকতা। সুস্পষ্টই এটা প্রতিভাত হবে যে, মানবপ্রবৃত্তির যে স্বাভাবিক দাবী তার মাঝেই ইসলামী বিচারব্যবস্থার আপাত কঠোর শাস্তি নীতির প্রাসঙ্গিকতা নিহিত। এখানে লক্ষ্যণীয় যে মন্তব্যদাতারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত ও আধুনিক সুশীল সমাজের তথাকথিত মানবতাবাদী প্রতিনিধি এবং অধিকাংশই দাবী করেছেন যে, হত্যাকারীর শাস্তি প্রকাশ্য জনসম্মুখে কার্যকর করা হোক। তাদের শাস্তির দাবীর পিছনে যে কঠোরতম এবং স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে, তা কি খুব অস্বাভাবিক, অবাস্তব?

প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার চরম উন্নতির যুগে তুমুল উৎসাহের সাথে হরহামেশাই প্রচারিত হচ্ছে ইসলামী বিচার ব্যবস্থা যে কি রকম বর্বর তার প্রকাশ্য কিংবা আকার-ইঙ্গিতের বিবরণ। যারা কিছুটা সংযমী তারাও আল্লাহর আইনকে কেবল মধ্যযুগীয় সমাজ ব্যবস্থার জন্য উপযোগী ছিল বলে পান্ডিত্যপূর্ণ মন্তব্য করে নিজেদেরকে আধুনিক জাহির করেন। অথচ কেতাদুরস্ত বিতর্কের বাইরে বাস্তবে এসে উপরোক্ত ঘটনায় এই তাদেরই স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহের ভাষা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কৃত্রিম খোলস ঠেলে ক্ষণিকের জন্য হলেও তারা বাস্তবতার আলোয় একাকার হয়েছেন। একই সাথে ইসলামী আইন ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকেও অবচেতনভাবে উচ্চকিত করেছেন।

এবারে আসা যাক বর্তমানে এই বাঙ্গালী ৮ যুবকের শিরোচ্ছেদের ঘটনা প্রসঙ্গে। এরা মূলতঃ অপরাধী ছিল। এমন নয় যে, তারা নিরপরাধ। যে অপরাধ তারা সংঘটিত করেছে তার জন্য প্রচলিত আইনেই তাদের বিচার হয়েছে। এমন নয় যে তারা তা জানেনা। জেনে বুঝে যারা অপরাধ করেছে এবং শাস্তির যোগ্য হয়েছে তাদের পক্ষে আপনি কথা বলার কে? আপনার দরদ এত উথলে উঠল কেন তাদের জন্য? যদি আপনার পিতা-সন্তানকে তারা এভাবে হত্যা করত তাহলে কি অপরাধীদের জন্য আপনার দরদ এভাবে প্রকাশ পেত? কখনই না।

কেন এই দ্বিমুখী নীতি আপনাদের? আপনার এই দরদ যে নিহতের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করল এটা আপনি চিন্তা করেছেন? এই তো কদিন আগে প্রেসিডেন্ট সাহেব নূরুল ইসলাম সাহেবের খুনীকে ক্ষমা করে দিলেন তখন নূরুল ইসলামের স্ত্রীর সেই বক্তব্য কি মনে পড়ে? তিনি বলেছিলেন— “প্রেসিডেন্ট কি পারবেন তার স্ত্রী আইভীর খুনীকে ক্ষমা করতে?” একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয় আপনার উত্তর কি হবে?

দেশের বিচারালয়গুলোতে দূর্বল, দূর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার কারণে যখন শত শত খুনী টাকা-পয়সা দিয়ে অবলীলায় বেরিয়ে যেয়ে আবার অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। আর নিহতের পরিবারের আহাজারিতে গ্রাম-গঞ্জের আকাশ বাতাস মাতম করছে। তখন আপনাদের কানে ঠুলি পড়ে থাকে। যখন দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনে লক্ষ-কোটি মানুষ নির্বিচারে মরছে, তখন আপনাদের মুখে বুলি ফোটে না। তখন কয়েকজন অপরাধী অপরাধ করে শাস্তি পেয়েছে তাই এত মায়াকান্না? নিহতের পরিবারের কাছে, মানবতার কাছে, বিবেকের কাছে আপনারা প্রত্যেকেই একেকটা শয়তানের দোসর, বিশ্বাসঘাতক মুনাফিক, বর্বর!!!! সত্য আপনাদের কাছে খেলনার বস্তু। মিথ্যা আর প্রতারণাই আপনাদের চিরন্তন সঙ্গী। আপনাদের মত এই রেসিস্ট, বর্বরদের ব্যার্থ মায়াকান্নার কারণে ন্যায়ের বাণীকে কখনোই ভূলুন্ঠিত হতে পারে না, কখনই নিহত ব্যক্তি ন্যায়বিচার পাবার অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে না।

দ্বিতীয়তঃ

মাথা কাটাকে বর্বরতা বলেন? কেন, একজন জীবন্ত মানুষকে ঠান্ডা মাথায় যেভাবেই মারেন না কেন সেটা যে কোন সংজ্ঞায় বর্বরতাই হবে। সেটা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে করেন আর বাইরে প্রকাশ্যে করেন। তাই অপরাধীর অপরাধ হেতু মৃতু্দণ্ড প্রাপ্তিকে কখনই বর্বরতা বলা যায় না। আপনি কেবল অপরাধীর জন্য যেটুকু করতে পারেন তা হল, তাকে কষ্ট না দিয়ে, অথবা যথাসম্ভব যন্ত্রণাহীনভাবে মৃত্য নিশ্চিত করতে। মৃত্যদণ্ডের আর যে কোন প্রক্রিয়ার চেয়ে শিরোচ্ছেদ মোটেই অধিক যন্ত্রণাদায়ক মৃত্য নয় অপরাধীর জন্য, বরং কম হওয়ার সম্ভবনাই বেশী।

মানুষের সমস্ত নার্ভ সিষ্টেম চালিত হয় ব্রেন থেকে। মস্তিষ্ক যতক্ষন কোন অনুভূতি বুঝতে না পারে ততক্ষন সেই অনূর্ভতিটা মানুষ অনুভব করে না। সেই কারনেই মষ্তিষ্ক ই সকল কিছুর মূল বিষয়। যখন মানুষ যখন কোন আঘাত বা অনূর্ভতি পায় সেটা নার্ভ সিষ্টেম মস্তিষ্কে অনূর্ভতিটা বহন করে নিয়ে যায়। আর সকল নার্ভসিষ্টেম মানুষের ঘাড়ের স্পাইনালকর্ডের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে চলে গিয়েছে। এখন যদি কারো ঘড়ের স্পাইনাল কর্ডের ভেতরের নার্ভ সিষ্টেম কাটা পরে তখন মস্তিষ্কে সেই অনূভৃতি যেতে পারবে না, ও মানুষ সেই অনূর্ভতি বুঝতে পারবে না। আবার ফাসিতে যে ঘটনাটা ঘটে সেটা হল, তখন মানুষ শ্বাস কষ্টের কারনে মৃত্যুর আগেই তার স্পাইনাল কর্ড ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে সে মারা যায়। কারন ফাসিতে ঝুলানোর সাথে সাথেই ঘাড়ের হাড়টা সবার আগে ভেঙ্গে যায়।

সেই কারনে যদি কাউকে শিরচ্ছেদ করা হয় তখন যে ঘটনাটা ঘটে সেটা হল তার কোন অনূর্ভতি মস্তিষ্কে যেতে পারে না, ফলে উক্ত ব্যক্তি কোন কিছুই আর তখন অনূভব করতে পারে না। সেই হিসাবে এটা অনেকটা কম কষ্টদায়ক মৃত্যু। আর শাস্তি বিধানের মূল কথা হল, যে শাস্তি যত কষ্ট দায়ক হবে মানুষ তখন সেই অপরাধ করতে ততটা ভয় পাবে, যা মানুষকে সেই অপরাধ করতে দূরে রাখতে সহায়তা করবে। শাস্তি মানে এটা না যে তাকে জামাই আদারে ডেকে মৃদু ভৎসনা করা। পবিত্র কুরআনের কিসাস সংক্রান্ত আয়াতটি পড়লেই বোঝা যায় কুরআনের এই আইনটি কতটা মানতাপূর্ণ এবং সামাজিক মানুষের অবস্থার সাথে সংগতিশীল।

হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।‘ [সূরা বাকারা ১৭৮-১৭৯]

১. এই আয়াত নিহত ব্যক্তির অধিকার পুরোপুরিভাবে সংরক্ষণ করেছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার যদি হত্যাকারীকে ক্ষমা না করে তবে পৃথিবীর কোন শক্তির যেমন ক্ষমতা নেই যে হত্যাকারীকে রক্ষা করবে, তেমনি আবার যদি নিহতের পরিবার যদি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে রাষ্ট্রের এখানে কিছুই বলার নেই।

. এখানে হত্যাকারীর অধিকারও সংরক্ষিত হয়েছে। সে যদি নিজের ভুল বুঝতে পারে অথবা কোন কারণে ভুল বিচারের সম্মুখিন হয় তবে নিহতের পরিবারের কাছে তার মাফ চেয়ে নেয়ার অধিকার পুরোপুরি সংরক্ষিত রয়েছে। যদি সে নিহতের পরিবারকে যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে রক্তপণ দিয়ে নিজেকে মুক্ত করতে পারে তবে তাতেও রাষ্টেঁর আপত্তি থাকে না।

পৃথিবী আর কোন আইনে বা বিচার-ব্যাবস্থায় একইসাথে এভাবে হত্যাকারী ও নিহতের উভয়ের অধিকার পূর্ণ সংরক্ষণের আর কোন বাস্তব নজীর কি কেউ দেখাতে পারবেন?

আয়াতের শেষে আল্লাহ এই আইন প্রয়োগের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে যেয়ে চমৎকারভাবে বলেছেন, “হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।” কি অসাধারণ কথা। এই আইন বাস্তবায়ন তথা ১ জন অপরাধীর জীবন গ্রহণের মাধ্যমে সমাজের আর ১০টা অপরাধীর অপরাধ প্রবণতাকে সহজাত প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। এর জন্য সভা-সেমিনার, মিছিল-মিটিং, পুলিশ- র্যাব কোনকিছুরই প্রয়োজন হয় না। মানুষ নিজ থেকেই নিজেকে সংশোধন করে ফেলে। এখানেই তো আল্লাহর বিধানের যৌক্তিকতা ও সৌন্দর্য।

সঊদী আরবে আর যত দোষই থাকুক না কেন, অন্তুতঃ ইসলামী শরীআ‌‌‌র মত মানবীয় বিচারব্যবস্থাকে যে তারা মূলসূত্র হিসাবে ধরে রেখেছে এর জন্য তারা প্রশংসার যোগ্য। হ্যা এটার বাস্তবায়ন অনেকসময় সেখানে হচ্ছে না। তবে যতটুকু হচ্ছে তাতেই সউদী আরবে অন্যান্য বহু দেশের তুলনায় আইন-শৃংখলা বহুগুণ উন্নত, নিতান্ত জ্ঞানপাপীও তা অস্বীকার করবে না। রাজনৈতিক হানাহানিতে খুন, বউ পিটানো, বউ খুন, এসিড মারা, নারীকে ইভটিজিং করা- ইত্যাকার যে সব কাহিনী এ দেশে প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় ভরে থাকে, সে দেশে তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।

পরিশেষে বলব, ইসলামী জীবন ব্যবস্থা মানুষের জন্য যে সকল নীতিমালা আবশ্যকীয় করে দিয়েছে তা মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টির জন্য কল্যাণকর ও তাদের স্বাভাবিক চাহিদার অনুকূল। এ ব্যবস্থা সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য ও মানব সমাজের শৃংখলাবিধানের সর্বাধিক উপযোগী বিধান। আপাতত দৃষ্টিতে তা যত কঠোরই মনে হোক না কেন, তার অভ্যন্তরে মানবহৃদয়ের স্বাভাবিক দাবী এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যে সুসমন্বয় ঘটেছে তার কোন বিকল্প নেই। সমাজে প্রকৃত অর্থে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইলে এবং রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনাযন্ত্র পরিশীলিত, ন্যায়বিচারপূর্ণ কাঠামোয় উত্তীর্ণ করতে চাইলে এই বিচার ব্যবস্থাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে সমাজের পাদপীঠে। আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন।

আমীন!

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

19 COMMENTS

  1. কোথাগুলা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত । ইসলামের আইনই পারে পরিপূর্ণ নীতিগত ভাবে সমাজ বেবস্থা গড়ে তুলতে। কিন্তু একটা কথা উঠেছে। এক জীবনের বদলে আট জীবন নেয়াটা কি আইনের মধ্যে উল্লেখিত ???? জানালে উপকৃত হব।

  2. “সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলো যা বলছে তা তাদের মতামত কিন্তু এ মতামত আল্লাহর আইনের উপরে নয়। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ওই মিসরীয়কে হত্যার অভিযোগে আট ব্যক্তির শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। এবং দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাদের দণ্ড দেওয়া হল। এতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহর আইনে বলা আছে হত্যার বদলে হত্যা। এটি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির পরিবারের হক। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ কাজে আসবে না।তিনি বলেন, আল্লাহর আইন সম্পর্কে সবাই জানেন। ফলে এ বিষয়ে কোন কিছু চিন্তা করার কারণ নেই। যাদেরকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সৌদি আইনের সব ধরনের সুযোগ ভোগ করেছে। বুশারী বলেন, এ মামলায় ১১ জনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিন জনের অপরাধ কম হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আর যে আটজন আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তাদেরকেই শিরচ্ছেদ করা হয়েছে।রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নিয়ে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। কারণ, যেদিন ৮ বাংলাদেশির শিরচ্ছেদ করা হয়েছে সেদিন আফগানিস্তানের এক নাগরিককে হত্যার দায়ে এক সৌদি নাগরিকেরও শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ আইন সৌদি আরবের নাগরিকদের জন্য যেমন প্রবাসীদের জন্যও এক।বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশন এ শিরñেদের ব্যাপারে সমালোচনা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি তাদের নিজস্ব মতামত, সৌদি সরকার তাদের মতামতকে সম্মান করে, কিন্তু তাদের মতামত আল্লাহর আইনের উর্ধ্বে নয়।” 
    Bistarito jante article ti porun – http://www.amadershomoy.net/content/2011/10/11/news0707.php

  3. Dhonnobad,bhai Ahmad.   jara ALLAH r ainer birodde kotha bole tara KAFIR…They should be killed as Murtad.  tader mritto  ebong ALLAH r  azab ke  voi kora ochit. 
    ALLAHUAKBAR………………………..

  4. ইসলামের সত্যিকারের রূপ নিয়ে যা লিখা হল তা আমরা মুসলমানরা সবাই জানি। ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবন বিধান। 
    কিন্তু একটা কথা তেই আপত্তি। সৌদি আরব নিয়ে। ওখানে অপরাধ কম এটা কিসের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে বুঝলাম না। ওখানে অনেক কিছুই হয় যা আমরা জানতে পারি না। এই একটা ব্যাপার এ আমি বলতে পারি কারন প্রত্যক্ষ চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়েছে।
    বাংলাদেশ থেকে অপরাধ কম এটা হয়তো সত্যি কিন্তু বাংলাদেশ এখানে মানদণ্ড হতে পারে না। আসলেই কি ইউরোপ এর উন্নত দেশ থেকে কম?? 
    আরেকটা ব্যাপার…সৌদি সরকার বিচার ঠিকভাবে করেনি। অপরাধী দের trial হয়েছে আরবি ভাষায় অথচ এরা আরবি না জানায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেনি। এটা english  এ atleast করা উচিত ছিল । এটা তো সুষ্ঠু বিচার হল না। ইসলাম সুষ্ঠু বিচার এর পক্ষে। এরকম বিচার এর পক্ষে না। 
    পরিশেষে বলতে চাই যে যারা আমরা ইসলামের মহত্তে বিশ্বাস করি তাদের এটুকু জ্ঞান থাকতে হবে যে কারা ইসলামের আইন মানবতার way তে প্রয়োগ করছে আর কারা নিজের মত করে প্রয়োগ করছে ও এটা differentiate করার ability থাকতে হবে। 

  5. আসসালামুওালাইকুম

    এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু কার্যকর করার মাধমে মানুষের সামনে মুনাফিক দের চেহারাটা বেড় হোয়ে আসলো। আল্লাহ এই ভাবেই মুনাফিক দের চেহারা উন্মচন করে দিলেন যাতে মুসলিমরা তাদের চিনতে পারে। আসলে এদের সমস্যা সৌদি আরব কে নিয়ে না এদের সমস্যা ইসলাম কে নিয়ে। আল্লাহ আমাদের ঈমান কে মজবুত করে দিন। মুস্লিম হয়েই মৃত্যু নসিব করুন। আমীন

  6. I want to know on what basis did the writer say about the less crime happening in Saudi Arabia. This aside, they have monarchy….which is the biggest example of anti Islamic rule :-). And we wrote ” রাজনৈতিক হানাহানিতে খুন, বউ পিটানো, বউ খুন, এসিড মারা, নারীকে ইভটিজিং করা- ইত্যাকার যে সব কাহিনী এ দেশে প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় ভরে থাকে, সে দেশে তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।” ….. I was really wondering where we have experience of watching women not wearing anything under Borkha and when they are under the lights we can see their entire physical being (I heard it from one of my friend after visiting Saudi Arabia and before he always used to site good examples of this country). And, please give solid references that this country is crime free…….

    I respect this country…this is the place where our beloved prophet Muhammad (SAW) was born and presented the world the best examples of everything good in this world. But, it is also evident that Saudi Arabia has failed to hold up to that reputation, and we can see this example by the day…..

    Anyways, I wrote all these not to oppose anything neither to show any anger or hatred, but I personally think that the administration in this country has been “crap” recently and bad things usually prevails for a long time within human being before we all go against it and bring peace at the end. I strongly believe we always get what we deserve and we all see heaven and hell on this earth before dying and then another trial awaits in front of Allah in life after death  So, I am hoping the best…not only for Saudi Arabia, but also for our earth. After all….this is the place we all live and Allah has given us this beautiful opportunity to live a life and observe his miracles and creations. 

  7. Bi lingual lawyer was also appointed for them. Besides all those who work in Saudi Arab know Arabic quite well.

  8. ভাই, ্যে ৮ জ়ন ১ জনকে মেরেছে, তারা ত ছাড়া পেলে আরও দশ জনকে মারত কিম্বা
    মারার উৎসাহ পেত; তেমনটিই তো আমরা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটতে দেখছি।আর ইসলাম এ বিধান দিয়েছে অন্যায় হত্যা বন্ধ করার জন্য,
    যাতে করে কেউ কাওকে হত্যা করার পরিণাম স্মরণ করে হত্যাকান্ড থেকে বিরত থাকে।

  9. Brother Asif, Saudi Arabia is implementing few rules of Shariah, not all. You’ve told about flimsy dress of women of that country. Islam doesn’t allow this type of dress. Whatever is forbidden in Islam, is forbidden for all; be an Arab or English or American or Bangladeshi. You shouldn’t judge Islam on the basis of the life style of Saudi people. Because, we are suggested by Allah and  the Prophet (peace be upon him) to study, analyse  the holy Quran and his (prophet’s)life style(Sunnah/Hadith) and to catch hold their biddings. So, whatever a Saudi woman or man does, is not Islam unless  is it coherent to the Quran or Hadith. A good number of my family members and friends have visited the country several times and some of them are still living there. I have come to know from them that the law and order situation of that country is far better than any other country of the world. Killing, burglary, robbery , rape or harrasment of women are the least in comparison to other countries.

  10. ভাই, ‘ওখানে অনেক কিছুই হয় যা আমরা জানতে পারি না’ এটাই বা আপনি কিসের ভিত্তিতে বল্লেন ? তাছাড়া গোপনে, প্রমাণ ছাড়া কেউ কোন অপরাধ করলে তার শাস্তি ইসলামি সরকার দিতে পারেনা।তবে, ইসলামের কোন বিধান যদি অযথারথ ভাবে প্রয়োগ হয়, তা হলে তার দায় প্রয়োগকারীই বহন করবে।আর আপনি ইওরোপের উন্নত ভোগবাদি দেশের কথা বলছেন যেখানে প্রতি ২২ মিনিটে ১ জন খুন, প্রতি ৫ মিনিটে ১ জন ধরষিতা, প্রতি ৪৯ সেকেন্ডে ১ টি ডাকাতি এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে ১ টি চুরির ঘটনা রেকরড করা হয় (রেকড বিহীন অপরাধের কথা না হয় না-ই বল্লাম )! আমার অনেক আত্মীয় ও বন্ধুরা সউদিসহ ইউরোপ-আমেরিকায় বসবাস করে। নিচের লিংক গুলো আশা করি তথাকথিত উন্নত দেশের অবস্থা সম্পকে আপনাকে কিঞ্চিত ধারণা দিবে।
    http://www.musc.edu/vawprevention/research/sa.shtml
    http://www.sweetliberty.org/issues/guns/britishcrimerates.htm
    http://www.usa-vs-uk.com/crime.html

  11.  aftab ভাই এই কমান্ড টা কপি করলাম ১ মত
    এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু কার্যকর করার মাধমে মানুষের সামনে মুনাফিক দের
    চেহারাটা বেড় হোয়ে আসলো। আল্লাহ এই ভাবেই মুনাফিক দের চেহারা উন্মচন করে
    দিলেন যাতে মুসলিমরা তাদের চিনতে পারে। আসলে এদের সমস্যা সৌদি আরব কে নিয়ে
    না এদের সমস্যা ইসলাম কে নিয়ে। আল্লাহ আমাদের ঈমান কে মজবুত করে দিন।
    মুস্লিম হয়েই মৃত্যু নসিব করুন। আমীন

  12. ১৯৮৭ সালে হজ্বে সৌদি পুলিশ ৫০০-এরও অধিক ইরানী হাজীকে হত্যা করেছিল। সারা
    বিশ্ব যখন অবাক বিশ্ময়ে দেখলো, আল্লাহর কোরআনেই যেখানে কোন হত্যাকান্ড
    নিষিদ্ধ করেছে, সেখানে সৌদিরা মার্কিন মদদে ৫০০ হত্যাকান্ড ঘটালো। ঘৃনা
    ছড়িয়ে পড়ার আগেই সৌদিরা ব্যবস্থা নিলো। তারা কোটি কোটি ডলার খরচ করলো তাদের
    পক্ষে প্রচার যন্ত্রের পেছনে। উস্কে দিলো শিয়া-সুন্নি বিরোধ, জাগিয়ে তুললো
    আরব জাতীয়তাবাদ। এ জন্যে দেশে দেশে তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত ভাড়া করা হলো।
    এই ইসলামী পন্ডিতদের কাজ হলো, সৌদিরা যা-ই করুক না কেন, তাতে ইসলামী লেভেল
    লাগানো। কোরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা করে তারা সৌদির গুনগানে মুহুর্তেই মেতে
    উঠে।

    ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ঢেউ যাতে রাজা বাদশা আর শেখদের দেশে না লাগে
    সেজন্যে ইমাম খোমেনীর আমলে শিয়া-সুন্নী বিরোধ সৃষ্টির জন্যে হাজার হাজার
    কোটি ডলার খরচ করা হয়েছিল। আমাদের দেশের কতিপয় মওলানা সেই হালুয়া রুটির ভাগ
    পেয়েছেন।লিখেছিলেন শিয়াদের বিরুদ্ধে অনেক বই পুস্তক। যদিও আমাদের দেশে
    শিয়া নেই। কোন সুন্নির শিয়া বনে যাওয়ার কারণও ছিল না। তবুও তারা লিখেছেন।
    সেমিনারও করেছেন। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন সৌদি বাদশা ফাহাদ ইরানের বিরুদ্ধে
    বিষোদগার শেষ করার আদেশ দেওয়ার পর নেই অধ্যায়টা শেষ হয়েছিল।

    সম্প্রতি আরব বিশ্বে পুনরায় গণ জাগরণ শুরু হওয়ায় ইসলামী দুনিয়ার
    হৃদুপন্ড সৌদি আরবেও লাগে এর প্রচন্ড ধাক্কা। মিশরের গন আন্দোলনকে সৌদি
    গ্রান্ড মুফতি নাজায়েজ ফতোয়া দিয়েও কোন লাভ হয়নি। বাদশা যুক্তরাষ্টের সংগে
    অনেক দেন দরবার করেও মিশরের নব্য ফেরাউনকে রক্ষা করতে পারেননি। এবার
    নিজেদের রক্ষার জন্যে তারা আবারো ‌ধর্মীয় অপব্যাখ্যাকে বেছে নিয়েছেন।
    প্রচারযন্ত্রের জন্যে বাজেট বরাদ্দ ৬০ কোটি ডলার। এ বাজেট ১০০ কোটি ডলার
    পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে খবর বেরিয়েছে। আর এ মোটা অংকের বাজেট ব্যয়ের
    মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌদির পক্ষে প্রচারনা। ব্যস আর যায় কোথায়? মাদ্রাসা
    গুলোয় এমন তালিম দেয়া হচ্ছে যে, সৌদিরা যা-ই করে তা-ই ইসলামী।

    সম্প্রতি সৌদিরা আরব জাতীয়তাবাদের অহমিকায় প্রকাশ্যে বর্বর পন্থায় ৮টি
    বাংলাদেশী প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখানেও সেই একই ইসলামের দোহাই। বাংলাদেশীদের
    অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। তারা নিজেদের নিদোর্ষ দাবী করেছেন।
    কিন্তু মিথু্্যকরা বলল, অপরাধীরা দোষ স্বীকার করেছে। আমাদের দেশের সৌদির
    প্রচার যন্ত্র প্রাণপন অপচেষ্টায় নেমে গেলো। কিন্তু তারা ভুলে গেছে মানুষ
    এখন আর আগের মত নেই। মানুষ এখন ইসলাম বোঝে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে কিছুই
    লুকিয়ে রাখা যায় না। ইসলামের দোহাই দিয়ে বোকা বানাবার দিন শেষ। তাদের
    যুক্তিগুলো এখন আর ধোপে টিকছে না। আমি এই ব্লগের কথাই যদি বলি, খেয়াল করুন,
    আমি, আলেয়া, সত্যে অবিচল, নেটপোকা, মুজতবা সহ আরো কয়েকজন ব্লগার সৌদিদের
    ঘৃণ্য কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লেখায় সৌদি প্রেমিক তথাকথিক ইসলামী ব্লগাররা
    আমাদের ব্লক করেছে। আক্রমনাত্মক মন্তব্য করেছে। কেউ কেউ আমাদেরকে কাফির,
    মুনাফিক ফতোয়াও দিয়েছেন। এই হলো তাদের ইসলামী চরিত্র।

    এবার বলুন, এই সব ঘৃন্য সৌদি প্রেমিকদের মুখে ইসলামের কোন কথা মানায়
    কি ? তারা ইসলামের কথা বলে বরং ইসলামকেই অপমান করছে না ? তবে তাদের প্রচার
    এখন আর হালে পানি পাচ্ছে না। প্রকৃত ইসলামী ব্লগাররা ছেড়ে কথা বলছেন না।
    তথ্য, যুক্তি তুলে ধরছেন। ছবির ব্লগও দিচ্ছেন। মানুষ এখন সত্য মিথ্যা বুঝতে
    পারছে। এরা বিভিন্ন নিকে যত মাইনাচই দিক, সত্য বেরিয়ে আসছে। মানুষ সাময়িক
    বিভ্রান্ত হলেও, পরে ঠিকই সত্যটা বুঝতে পারছেন। ৮ বাংলাদেশী হত্যায় সৌদিরা
    কিসাস আইন প্রয়োগ করেছে বলা হচ্ছে। এই কিসাস কাদের জন্যে? যাদের বিরুদ্ধে
    অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তাদের জন্যে। আর এ আইনের প্রয়োগ
    প্রকাশ্যে করে আতঙ্ক ছড়াবার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। আইন হলে সবার জন্যে সমান
    হবে। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে উইলিয়াম স্যাম্পসন নামে একজন
    ব্রিটিশ-কানাডিয়ান নাগরিককে সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদ, গোয়েন্দাবৃত্তি ও
    খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। কিন্তু তার শিরশ্চেদ করার সাহস সৌদি সরকার বা
    তার তথাকথিত শরীয়া কাউন্সিলের হয়নি। দুই বছর পর ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে তারা
    ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান সরকারের চাপে তাকে কোনরকম বিচার ছাড়াই আরো কয়েকজন
    সহযোগীসহ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এবার তো কানাডা, বৃটিশ বা অন্য কোন
    উন্নত দেশ নয়, একান্তই দরিদ্র বাংলাদেশ, যাদেরকে তারা মিছকিন বলে অবহিত
    করে। অপরাধীদের কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ
    বলেছে অপরাধীরা দোষ স্বীকার করেছে। অথচ এরা কেউই দোষী নয় বলে সকলকে
    জানিয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদেরও জানিয়েছে। কিন্তু এইসব হতভাগ্যদের
    একটাই দোষ, তারা দরিদ্র বাংলাদেশী। আরব জাতীয়তাবাদের অহমিকায় সৌদিরা এই
    মিছকিনদের মাথা কেটে ফেললো পুরোপুরি হিন্দু কায়দায়। দোহাই দেয়া হলো
    ইসলামের।

আপনার মন্তব্য লিখুন