সদকাতুল ফিতর

17
3580

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ)| অনুবাদঃ সানাউল্লাহ বিন নজির আহমেদ

সদকাতুল ফিতরের বিধান:

সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা মুসলিমদের উপর আবশ্যক করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক আদেশ করার সমতুল্য। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হুকুম মান্য করল, সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। আর যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল, আমি আপনাকে তাদের জন্য পর্যবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।” [সূরা নিসা: ৮০]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “যে কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকে ফিরাব যে দিকে সে ফিরতে চায় এবং আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। তা নিকৃষ্টতম গন্তব্যস্থল।” [সূরা নিসা: ১১৫]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল তোমাদের যা আদেশ করেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক।” [সূরা হাসর: ৭]

সাদকাতুল ফিতর মুসলিম নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, আজাদ-গোলাম সকলের উপর ওয়াজিব। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে আজাদ, গোলাম, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের উপর এক সা’ খেজুর, বা এক সা’ যব সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর দেয়া ওয়াজিব নয়, কিন্তু কেউ যদি আদায় করে, তাহলে নফল সদকা হিসেবে আদায় হবে। ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর আদায় করতেন। ফিতরা নিজের পক্ষ থেকে এবং নিজের পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে আদায় করবে। যেমন স্ত্রী ও সন্তান। যদি তাদের নিজস্ব সম্পদ থাকে তবে তাদের সম্পদ থেকেই সদকাতুল ফিতর আদায় করবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “তোমরা সাধ্য অনুপাতে আল্লাহকে ভয় কর।” [সূরা তাগাবুন: ১৬]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি যখন তোমাদের কোন বিষয়ে আদেশ করি, তোমরা তা সাধ্যানুযায়ী পালন কর।” [বুখারিী ও মুসলিম]

সদকাতুল ফিতরের উপকারীতা:

১. দরিদ্র ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা হয়।
২. ঈদের দিনগুলোতে দরিদ্র ব্যক্তিরা ধনীদের ন্যায় স্বচ্ছলতা বোধ করে।
৩. সদকাতুল ফিতরের ফলে ধনী-গরীব সবার জন্য ঈদ আনন্দদায়ক হয়।
৪. সদকাতুল ফিতর আদায়কারী দানশীল হিসেবে পরিগণিত হয়।
৫. সদকাতুল ফিতরের মাধ্যমে সিয়াম অবস্থায় ঘটে যাওয়া ক্রটিগুলোর কাফ্ফারা করা হয়।
৬. সদকাতুল ফিতর দ্বারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়। তিনি নিজ অনুগ্রহে বান্দাকে পূর্ণ একমাস সিয়াম পালনের তওফিক দিয়েছেন, সাথে সাথে সদকাতুল ফিতিরের ন্যায় আরেকটি ভাল কাজের তওফিক দান করলেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন অশ্লীল ও অনর্থক কথা-বার্তার কারণে সিয়ামে ঘটে যাওয়া ত্র“টি-বিচ্যুতিগুলো দূর করার জন্য ও মিসকিনদের খাদ্য প্রদানের জন্য। ঈদের সালাতের পূর্বে আদায় করলে তা সদাকাতুল ফিতর হিসাবে গণ্য হবে। আর ঈদের সালাতের পর আদায় করলে তা অন্যান্য সাধারণ দানের মত একটি দান হিসেবে গন্য হবে। [আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ]

যে সব জিনিস দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় করা যায়:

মানুষের সাধারণ খাবার জাতীয় বস্তু দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় করা যায়। যেমন, খেজুর, গম, চাল, পনির, ঘি ইত্যাদি।বুখারী ও মুসলিমে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকাতুল ফিত্র খেজুর অথবা যব দ্বারা আদায় করতে বলেছেন। যবের ক্ষেত্রে দুই দিনের খাবারের সমপরিমণ যব প্রদান করা। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমরা খাবার জাতীয় জিনিস দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। সে সময় আমাদের সবার খাবার ছিল পনির, ঘি এবং খেজুর।” [বুখারী]

মানুষ ব্যতীত অন্য কোন প্রাণীর খাদ্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় হবে না। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ফরজ করেছেন মিসকিনদের খাদ্যের অভাব পূরণ করার জন্য, কোন প্রাণীর খাদ্যাভাব পুরণের জন্য নয়। এমনকি কাপড়, বিছানা, পান পাত্র ইত্যাদি দ্বারাও আদায় হবে না। যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকায়ে ফিতর খাদ্যের মাধ্যমে আদায় করা ফরজ করেছেন। খাদ্যমূল্য দ্বারা আদায় করলেও আদায় হবে না। যেহেতু এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশের বিপরীত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন আমল করল, যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা পরিত্যাজ্য।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘যে আমাদের ধর্মে এমন জিনিস সৃষ্টি করল, যা আমাদের ধর্মে নেই, তা পরিত্যাজ্য।’ তাছাড়া খাদ্যমূল্য প্রদান করা সাহাবাদের আমলের পরিপন্থী। কারণ, তারা খাদ্যজাতীয় বস্তু দ্বারাই সদকাতুল ফিত্র আদায় করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমার সুন্নত এবং আমার পরবর্তীতে সঠিক পথে পরিচালিত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত আকড়ে ধর। সদকাতুল ফিতর নির্দিষ্ট একটি এবাদত, তাই অনির্দিষ্ট বস্তু দ্বারা আদায় করলে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। যেমন নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আদায় করলে আদায় হয় না।

যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকাতুল ফিতর বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য দ্রব্য দ্বারা নির্ধারণ করেছেন। আর প্রত্যেক খাদ্য দ্রব্যের মূল্য সমান নয়। সুতরাং মূল্যই যদি ধর্তব্য হয়, তাহলে নির্দিষ্ট কোন এক প্রকারের এক সা’ হত এবং তার বিপরীত বস্তু দ্বারা ভিন্ন মূল্যের হত। দ্বিতীয়ত মূল্য প্রদানের দ্বারা সদকাতুল ফিতর প্রকাশ্য এবাদতের রূপ হারিয়ে গোপন এবাদতের রূপ পরিগ্রহণ করে, তাই এটা পরিহার করাই বাঞ্চনীয়। এক সা’ খাদ্য সবার দৃষ্টি গোচর হয়, কিন্তু মূল্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় না।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ:

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগের এক সা’। যার ওজন চার শত আশি মিসকাল গম। ইংরেজী ওজনে যা দুই কেজি ৪০ গ্রাম গম। যেহেতু এক মিসকাল সমান চার গ্রাম ও এক চতুর্থাংশ হয়। সুতরাং ৪৮০ মিসকাল সমান ২০৪০ গ্রাম হয়। অতএব রাসূলের যুগের সা’ জানতে ইচ্ছা করলে, তাকে দুই কেজি চল্লিশ গ্রাম গম ওজন করে এমন পাত্রে রাখতে হবে, যা মুখ পর্যন্ত ভরে যাবে। অতঃপর তা পরিমাপ করতে হবে।

সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হওয়ায় সময়:

ঈদের রাতে সূর্যাস্তের সময় জীবিত থাকলে তার উপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা আবশ্যক, নতুবা নয়। সুতরাং কেউ সূর্যাস্তের এক মিনিট পূর্বে মারা গেলে তার উপর ওয়াজিব হবে না। এক মিনিট পরে মারা গেলে অবশ্যই তার পক্ষ থেকে আদায় করতে হবে। যদি কোন শিশু সূর্যাস্তের কয়েক মিনিট পর ভূমিষ্ট হয়, তার উপরও আবশ্যক হবে না, তবে আদায় করা সুন্নত। যার আলোচনা পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে। আর সূর্যাস্তের কয়েক মিনিট পূর্বে ভুমিষ্ট হলে তার পক্ষ থেকে আদায় করতে হবে।

সদকাতুল ফিতর আবশ্যক হওয়ার ওয়াক্ত রমজানের শেষ দিনের সূর্যাস্তের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করার কারণ হচ্ছে, তখন থেকে ফিতর তথা খাওয়ার মাধ্যমে রমজানের সিয়াম সমাপ্ত হয়। এ কারণেই একে রমজনের সদকাতুল ফিতর বা সিয়াম খোলার ফিতর বলা হয়। বুঝা গেল, ফিতর তথা সিয়াম শেষ হওয়ার সময়টাই সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হওয়ার সময়। সদকাতুল ফিতর আদায়ের সময় দু’ধরণের: (১) ফজিলতপূর্ণ সময় ও (২) ওয়াক্ত জাওয়াজ বা সাধারণ সময়

(১) ফজিলতপূর্ণ সময়: ঈদের দিন সকালে ঈদের সালাতের পূর্বে। বুখারীতে বর্ণিত, আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহ আনহু বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সদকাতুল ফিতর হিসেবে ঈদুল ফিতরের দিন এক সা’ পরিমাণ খাদ্য আদায় করতাম। ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের ঈদের সালাত পড়তে যাওয়ার পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করার আদেশ দিয়েছে।

ইবনে উয়াইনা স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে আমর বিন দীনারের সূত্রে ইকরামা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, মানুষ ঈদের দিন সদকাতুল ফিতর ঈদের সালাতের পূর্বে আদায় করবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্বরণ করে, অতঃপর সালাত আদায় করে।” [সূরা আলা ১৪-১৫]

সুতরাং ঈদুল ফিতরের সালাত একটু বিলম্বে আদায় করা উত্তম। যাতে মানুষ সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারে।

(২) জায়েজ সময়: ঈদের একদিন দু’দিন পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করা। বুখারীতে আছে, নাফে রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু নিজের এবং ছোট-বড় সন্তানদের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করতেন, এমনকি আমার সন্তানদের পক্ষ হতেও। তিনি জাকাতের হকদারদের ঈদের একদিন বা দুদিন পূর্বে সদকাতুল ফিতর দিতেন। ঈদের সালাতের পর আদায় করা জায়েজ নেই। অতএব, বিনা কারণে সালাতের পর বিলম্ব করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিদের্শের পরিপন্থী। পূর্বে ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু এর হাদিস উদ্ধৃত হয়েছে, যে ব্যক্তি সদকাতুল ফিতর ঈদের সালাতের পূর্বে আদায় করবে, তার দান সদকাতুল ফিতর হিসেবে গণ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে, তা অন্যান্য সাধারণ দানের মত একটি দান হিসেবে গণ্য হবে। যদি কোন কারণ বশত বিলম্ব করে, তাহলে কোন অসুবিধা নেই। যেমন সে এমন স্থানে আছে যে, তার নিকট আদায় করার মত কোন বস্তু নেই বা এমন কোন ব্যক্তিও নেই, যে এর হকদার হবে। অথবা হঠাৎ তার নিকট ঈদের সালাতের সংবাদ পৌঁছল, যে কারণে সে সালাতের পূর্বে আদায় করার সুযোগ পেল না। অথবা সে কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছিল, যে তা আদায় করতে ভুলে গেছে। এমতাবস্থায় সালাতের পর আদায় করলে কোন অসুবিধা নেই। কারণ সে অপারগ।

ওয়াজিব হচ্ছে, সদকাতুল ফিতর তার প্রাপকের হাতে সরাসরি বা উকিলের মাধ্যমে যথাসময়ে সালাতের পূর্বে পৌঁছানো। যদি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে প্রদানের নিয়ত করে, অথচ তার সঙ্গে বা তার নিকট পৌঁছতে পারে এমন কারো সঙ্গে সাক্ষাত না হয়, তাহলে অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করবে, বিলম্ব করবে না।

সদকাতুল ফিতর প্রদানের স্থান:

সদকাতুল ফিতর প্রদানের সময় যে এলাকায় সে অবস্থান করছে ঐ এলাকার গরীবরাই বেশী হকদার। উক্ত এলাকায় সে স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী। কিন্তু যদি তার বসতি এলাকায় কোন হকদার না থাকে বা হকদার চেনা অসম্ভব হয়, তাহলে তার পক্ষে উকিল নিযুক্ত করবে। সে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে তার সদকাতুল ফিতর আদায় করে দিবে ।

সদকাতুল ফিতরের হকদার:

সদকাতুল ফিতর হকদার হচেছ (১) দরিদ্র (২) ঋণ আদায়ে অক্ষম (৩) ঋণগ্রস্ত, তাকে প্রয়োজন পরিমাণ দেয়া যাবে। এক সদকাতুল ফিতর অনেক ফকীরকে দেয়া যাবে এবং অনেক সদকাতুল ফিতর এক মিসকিনকেও দেয়া যাবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন, কিন্তু হকদারকে কি পরিমাণ দিতে হবে তা নির্ধারণ করেননি। সুতরাং যদি অনেক ব্যক্তি তাদের সদকাতুল ফিতর ওজন করার পর একটি পাত্রে জমা করে এবং সেখান থেকে তা পুনরায় পরিমাপ ছাড়া বণ্টন করে, তবে তা বৈধ হবে। কিন্তু ফকীরকে জানিয়ে দেয়া উচিৎ। তাকে তারা যা দিচ্ছে তার পরিমাণ তারা জানে না। ফকীরের জন্য বৈধ, কারো থেকে সদকাতুল ফিতর গ্রহণের পর নিজের পক্ষ থেকে বা পরিবারের অন্য সদস্যের পক্ষ থেকে দাতার কথায় বিশ্বাস করে পরিমাপ ছাড়াই কাউকে কিছু দেয়া।

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার সন্তুষ্টি অনুযায়ী আনুগত্য করার তওফিক দিন। আমাদের আত্মা, কথা ও কাজ শুদ্ধ করে দিন। আমাদেরকে বিশ্বাস, কথা ও কাজের ভ্রষ্টতা থেকে পবিত্র করুন। নিশ্চয়ই আপনি উত্তম দানশীল ও করুনাময়। হে আল্লাহ! আখেরী নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তার সকল পরিবার ও সাহাবাগণের উপর দরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন। আমীন

সমাপ্ত

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

17 COMMENTS

  1.  আল্লাহ আপনি আমাদের জাহান্নামের আগুন  থেকে বাচান এবং জান্নাতে প্রবেশ করান ।
    [email protected]

  2. আল্লাহ আপনি আমাদের আশ্লিলতা থেকে বাচার তাওফিক দান করুন।

    লতা ।
    [email protected] 

  3. “যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকায়ে ফিতর খাদ্যের
    মাধ্যমে আদায় করা ফরজ করেছেন। খাদ্যমূল্য দ্বারা আদায় করলেও আদায় হবে
    না।”   We are really confused. There are thousands of Mufti in Bangladesh including Institution like Islamic Foundation of Bangladesh said no one as you said. ALLAH show us the right path and save from fetna.

  4. ফিদইয়ার ব্যাপারে একটু জানতে চাচ্ছিলাম।
    আমার এক আত্মিয় ইংল্যান্ড থাকেন। তিনি রোঝা রাখতে অপারগ।
    এখন ফিদইয়া দিতে চাইলে উনি কি সেই দেশের বাজার দরে ফিদয়ার টাকা দিবেন, নাকি আমাদের দেশের দেশের বাজার দরে ফিদইয়া দেবেন? উল্লেঙ্খ্য, টাকাটা উনি বাংলাদেশের পাঠিয়ে দিতে চাইছেন।

  5. প্রথম কমেন্টের অবশিষ্ট অংশঃ
    টাকার মূল্যে না হলেও বাংলাদেশে যদি চাল কিনে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে জায়েজ হবে কি না

  6. This article making me very confuse! We are giving ‘Fitra’ by the price of food every year! Islamic foundation  fixed 53 taka this year per head! they didn’t mentioned that we need to give food but we have to pay 53 taka per head! So plz calrify and show us where from you get this that we must have to pay food not money?! Otherwise this article hasn’t any value but seems like ‘fitna’ which is very unacceptable from this site!!!

  7. আসসালামুওালাইকুম  আমি বুঝলামনা এখানে তো আল্লাহর রাসুল (সা) কিভাবে ফিত্রা আদায় করেসেন তা বলা হয়েছে রেফেরেঞ্চে সহ তারপরেও কেন আল্লাহর রাসুলের (সা) হাদিসের চেয়ে উপরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফাতোয়া রাখা হচ্ছে?
    আলাহ্র রাসুলের (সা) চেয়ে ইসলামিক ফউন্দাতিওনের মুফতিরা বড় হয়ে গেল?

    আল্লাহ এই উম্মাহ কে হেদায়েত কার জাতে আমরা কুরআন এবং সুন্নাহ কে  পরিপুর্ন ভাবে মেনে আমল করতে পারি। আমীন

  8. Brother Monir……Islamic Foundation of Bangladesh don’t do anything beyond Quoran and Hadith.  And we should learn about the  following :ফতোওয়া বা ইফতা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো, ‘যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া।’ শরিয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হলো, ‘দালায়েলে শরাইয়্যাহর (শরিয়তের সুস্পষ্ট প্রমাণের) ভিত্তিতে কোনো প্রশ্নের বা জিজ্ঞাসার জবাব দেয়া। শরিয়তের সর্বসম্মত দলিল ও প্রমাণ চারটি : যথা—১. কোরআন, ২. সুন্নাহ ৩. ইজমা ৪. কিয়াসক. কোরআন : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়ত লাভের পর মৃত্যু পর্যন্ত সুদীর্ঘ তেইশ বছরে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পবিত্র কোরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে। এতে সর্বমোট ৬৬৬৬টি আয়াত রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক আয়াত হলো শুধু আইনকানুন সম্পর্কীয়। অবশিষ্টগুলো হলো ওয়াজ-নসিহত ও ইতিহাস। তবে এই ওয়াজ-নসিহত ও ইতিহাসের মধ্য থেকেও কিছু আইনকানুন বের হয়েছে। এগুলোই ফিকহের মূল উত্স।খ. সুন্নাহ : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ করার জন্য মহান আল্লাহ নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে কারণেই সাহাবিরা সর্বদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতেন, যা করতে দেখতেন তাই করতেন এবং কখনও তারা কোনো সমস্যায় পড়লে তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জেনে নিতেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য সুন্নাহ হতে প্রায় এক হাজার হাদিস ইসলামী ফিকহের মূল উত্স হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। গ. ইজমা : ইজমা হলো উম্মতে মুহাম্মদীর সর্বসম্মত অভিমত। কোরআন ও হাদিসে নব উদ্ভাবিত কোনো সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে তখন এ উম্মতের মুজতাহিদরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এর গবেষণা চালাতেন। এরপর কোনো নির্দিষ্ট সমাধান বের হলে যদি তাতে সবাই ঐকমত্য পোষণ করতেন, তবে তাকে ইজমা বলত। এটি ফিকহে ইসলামীর একটি মূল উত্স। যেমন—হজরত আবু বকরকে (রাজি.) খলীফা নিযুক্ত করার ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকার ফলে সবাই সাহাবিদের সর্বসম্মত অভিমত দ্বারা তার খিলাফতের বৈধতা প্রমাণিত হয়েছে। ঘ. কিয়াস : কোরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা মীমাংসিত কোনো বিষয়ের সঙ্গে অনুরূপ কোনো বিষয়কে উপমা দ্বারা সাদৃশ্য বিধান করে হুকুম উদ্ভাবন করাকে কিয়াস বলে। এটা হাদিস দ্বারা সাবেত আছে। যেমন—দশম হিজরিতে হজরত মুআজকে (রাজি.) ইয়েমেনের বিচারক নিযুক্ত করে পাঠানোর সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআন ও সুন্নায় কোনো সমাধান না পাওয়া গেলে কীভাবে সমাধান করবে বলে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জবাবে হজরত মুআজ (রাজি.) বললেন, আমি ইজতিহাদ করে তার ফয়সালা করব। এ জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। এতে বোঝা যায়, কিয়াসও ইসলামী ফিকহের মূল উেসর অন্যতম। এই দালায়েলে শরইয়্যাহর অভিজ্ঞ ব্যক্তিই ফতওয়া দিতে পারেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তির ফতওয়া দেয়ার অধিকার কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং ফতওয়ার এই অধিকার রহিত করার ক্ষমতা কারও নেই। 
    ফতোওয়া বা ইফতা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো, ‘যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া।’ শরিয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হলো, ‘দালায়েলে শরাইয়্যাহর (শরিয়তের সুস্পষ্ট প্রমাণের) ভিত্তিতে কোনো প্রশ্নের বা জিজ্ঞাসার জবাব দেয়া। শরিয়তের সর্বসম্মত দলিল ও প্রমাণ চারটি : যথা—১. কোরআন, ২. সুন্নাহ ৩. ইজমা ৪. কিয়াসক. কোরআন : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়ত লাভের পর মৃত্যু পর্যন্ত সুদীর্ঘ তেইশ বছরে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পবিত্র কোরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে। এতে সর্বমোট ৬৬৬৬টি আয়াত রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক আয়াত হলো শুধু আইনকানুন সম্পর্কীয়। অবশিষ্টগুলো হলো ওয়াজ-নসিহত ও ইতিহাস। তবে এই ওয়াজ-নসিহত ও ইতিহাসের মধ্য থেকেও কিছু আইনকানুন বের হয়েছে। এগুলোই ফিকহের মূল উত্স।খ. সুন্নাহ : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ করার জন্য মহান আল্লাহ নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে কারণেই সাহাবিরা সর্বদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতেন, যা করতে দেখতেন তাই করতেন এবং কখনও তারা কোনো সমস্যায় পড়লে তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জেনে নিতেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য সুন্নাহ হতে প্রায় এক হাজার হাদিস ইসলামী ফিকহের মূল উত্স হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। গ. ইজমা : ইজমা হলো উম্মতে মুহাম্মদীর সর্বসম্মত অভিমত। কোরআন ও হাদিসে নব উদ্ভাবিত কোনো সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে তখন এ উম্মতের মুজতাহিদরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এর গবেষণা চালাতেন। এরপর কোনো নির্দিষ্ট সমাধান বের হলে যদি তাতে সবাই ঐকমত্য পোষণ করতেন, তবে তাকে ইজমা বলত। এটি ফিকহে ইসলামীর একটি মূল উত্স। যেমন—হজরত আবু বকরকে (রাজি.) খলীফা নিযুক্ত করার ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকার ফলে সবাই সাহাবিদের সর্বসম্মত অভিমত দ্বারা তার খিলাফতের বৈধতা প্রমাণিত হয়েছে। ঘ. কিয়াস : কোরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা মীমাংসিত কোনো বিষয়ের সঙ্গে অনুরূপ কোনো বিষয়কে উপমা দ্বারা সাদৃশ্য বিধান করে হুকুম উদ্ভাবন করাকে কিয়াস বলে। এটা হাদিস দ্বারা সাবেত আছে। যেমন—দশম হিজরিতে হজরত মুআজকে (রাজি.) ইয়েমেনের বিচারক নিযুক্ত করে পাঠানোর সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআন ও সুন্নায় কোনো সমাধান না পাওয়া গেলে কীভাবে সমাধান করবে বলে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জবাবে হজরত মুআজ (রাজি.) বললেন, আমি ইজতিহাদ করে তার ফয়সালা করব। এ জবাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। এতে বোঝা যায়, কিয়াসও ইসলামী ফিকহের মূল উেসর অন্যতম। এই দালায়েলে শরইয়্যাহর অভিজ্ঞ ব্যক্তিই ফতওয়া দিতে পারেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তির ফতওয়া দেয়ার অধিকার কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং ফতওয়ার এই অধিকার রহিত করার ক্ষমতা কারও নেই। 
              

  9. the holly quran does`t contain 6666 verse……….it contains 6236 verse…………from where did this number 6666 came  from.tell me……………

আপনার মন্তব্য লিখুন