শয়তানের প্রবেশপথ (পর্ব:৪)

0
2302

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

লিখেছেনঃ নুমান বিন আবুল বাশার    ।   ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার

পর্ব ১      পর্ব ২      পর্ব ৩      পর্ব ৪

116

তৃতীয়ত: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া: আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন বিষয়ে শয়তান থেকে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দিয়েছেন। তার কাছে থেকে আশ্রয় লাভের অধিক গুরুত্বের তাগিদ থেকেই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

[১] কোরআন তেলাওয়াতের সময় :

فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآَنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ. النحل : ৯৮

‘অত:পর যখন তুমি কোরআন পাঠ করবে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

 

[২] জাদু ও জাদুর প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ. مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ. وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ. وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ. وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ. الفلق : ১-৫

(১) হে নবী তুমি বলো, আমি উজ্জ্বল প্রভাতের মালিকের কাছে আশ্রয় চাই। (২) আশ্রয় চাই তার সৃষ্টি করা (প্রতিটি জিনিসের) অনিষ্ট থেকে। (৩) আমি আশ্রয় চাই রাতের (রাতের অন্ধকারে সংঘটিত) অনিষ্ট থেকে, (বিশেষ করে) যখন রাত তার অন্ধকার বিছিয়ে দেয়। (৪) (আমি আশ্রয় চাই) গিরায় ফুঁক দিয়ে জাদু টোনা কারিণীদের, অনিষ্ট থেকে। (৫) হিংসুক ব্যক্তির (সব ধরনের হিংসার) অনিষ্ট থেকেও (আমি তোমার আশ্রয় চাই) যখন সে হিংসার করে।

 

[৩] মসজিদ প্রবেশের মুহূর্তে : আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আছ, নবী সা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন বলতেন—

أعوذ بالله العظيم، وبوجهه الكريم، وسلاطانه القديم، من الشيطان الرجيم، وفيه : فإذا قلت ذلك، قال الشيطان: حفظ مني سائر اليوم. رواه أبوداود(৪৬৬)، وصححه الألباني في صحيح سنن أبي داود(৪৪১).

মহান আল্লাহ তার মহিমান্বিত সত্তা ও তার প্রাচীন ক্ষমতার অসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাচ্ছি। এ হাদিসে অতিরিক্ত বর্ণনা এও এসেছে, যখন তুমি এ দোয়া পড়বে, শয়তান বলে, সে সারা দিনের জন্য আমার থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।

 

[৪] নামাজে ওয়াসওয়াসা বা প্ররোচনা দেওয়ার মুহূর্তে : একবার উসমান ইবনে আছ, নবী সা.এর কাছে আসলেন, অত:পর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. শয়তান আমার তেলাওয়াত, নামাজ এবং আমার মাঝে বসে রয়েছে, সে আমার কাছে এগুলোকে সন্দিহান করে তোলে। রাসূল সা. বললেন—

ذاك شيطان يقال له خترب، فإذا أحسسته فتعوذ بالله منه، واتفل على يسارك ثلاثا، قال: ففعلت ذلك، فأذهبه الله عني. رواه مسلم(২২০৩).

ঐটা শয়তান। তাকে খাতরাব বলা হয়। যখন তুমি তাকে উপলব্ধি কর আল্লাহর নামে তার কাছ থেকে আশ্রয় চাইবে। এবং বাম দিকে তিন বার থুক ফেলবে। তিনি বলেন, আমি এমনটি করেছি, তারপর আল্লাহ তাআলা তাকে আমার থেকে দূর করে দিয়েছেন।

 

[৫] রাগ, ক্রোধের সময় : সোলাইমান ইবনে সারদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সা.-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় দু’জন লোক পরস্পর গালাগাল করছিল, তাদের একজনের চেহারা রক্ত বর্ণ ধারণ করল। এবং শিরা উপশিরা ফুল উঠল। অত:পর নবী সা. বললেন—

إني لأعلم كلمة لو قالها ذهب عنه ما يجد، لو قال: أعوذ بالله من الشيطان، ذهب عنه ما يجد، فقالوا له: إن النبي قال: تعوذ بالله من الشيطان. فقال: وهل بي جنون؟! رواه البخاري(৩২৮২)،ومسلم(২৬১০).

আমি এমন একটি কথা জানি যদি সে তা বলে তার ক্ষোভ প্রশমিত হয়ে যাবে। যদি সে বলে আমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই তাহলে তার ক্রোধ মিটে যাবে। অত:পর তারা তাকে বলল, রাসূল সা., বলেছেন তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। অত:পর সে বলল, আমার কি কোন পাগলামি আছে?  শয়তানের প্ররোচনা, প্রবঞ্চনা থেকে সুরক্ষিত দুর্গ হচ্ছে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

 

وَقُلْ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ. المؤمنون : ৯৭

‘(সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হয়ে) তুমি (বরং) বলো, হে আমার মালিক শয়তানদের যাবতীয় ওয়াসওয়াসা থেকে আমি তোমার পানাহ চাই।

 

 

وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ. فصلت : ৩৬

‘আল্লাহ তাআলা বলেন, শয়তানের পক্ষ থেকে তোমাকে কোন অনিষ্ট পৌঁছোলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে, নিশ্চয় তিনি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞাত।

 

এই অন্তরের সৃষ্টি কর্তা তার সব অলিগলি, পথ ও গন্তব্য সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল। এবং তিনি তার শক্তি ও ক্ষমতাকে নির্দিষ্ট করেন। তিনি মুসলমানের অন্তরকে ক্রোধের ক্ষতি ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে সংরক্ষণ করেন। তাই মুসলমানের জন্য শোভনীয় হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা। হে আল্লাহ অনুগত বান্দা তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা সর্বদ্রষ্টা, সর্ব-শ্রোতা, মূর্খদের মূর্খতা ও বোকামি শুনেন এবং তাদের প্রবৃত্তির কষ্টের বিষয়ে তিনি জানেন, আর এতেই রয়েছে। অন্তরের তুষ্টি ও প্রবৃত্তির প্রশান্তি। উভয়ের জন্য তৃপ্তির বিষয় হচ্ছে, সর্ব-শ্রোতা ও সর্বজ্ঞ শুনছেন ও জানছেন। আল্লাহর শোনা ও সব মূর্খতা, বোকামি জানার পরে হে মুসলিম তোমার জন্য আর কি চাওয়ার থাকতে পারে ? অতএব তুমি জাহেলদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।

 

[৬] স্বপ্নে মানুষেরে অপ্রীতিকর কিছু দেখার মুহূর্তে :

রাসূল সা. বলেছেন—

الرؤيا الحسنة من الله، فإذا رأى أحدكم ما يحب فلا يحدث به إلا من يحب، وإذا رأى ما يكره، فليتعو১ بالله من شرها، ومن شر الشيطان، وليتفل ثلاثا، ولا يحدث بها أحدا، فإنها لن تضره. رواه البخاري(৭০৪৪)، ومسلم(২২৬১).

সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে, তোমাদের কেউ যদি স্বপ্নে আনন্দদায়ক কিছু দেখে তবে তার জন্য আনন্দের বিষয় ঘটবে। আর যদি অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তার অমঙ্গল থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে আশ্রয় চাইবে। এবং তিনবার থুতু ফেলবে। এবং কারো কাছে তা আলোচনা করবে না। তবে তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।

 

[৭] চক্ষু ওঠার সময় :

নবী সা. হাসান এবং হুসাইন কে তাআউয পড়াতেন, তিনি বলতেন—

إن أباكما كان يعوذ بها إسماعيل وإسحاق، أعوذ بكلمات الله التامة من كل شيطان وهامة، ومن كل عين لامة. رواه البخاري(৩৩৭১).

তোমাদের পিতা ইব্রাহীম আ., ইসমাইল এবং ইসহাককে তাআউয পড়াতেন।

 

 

চতুর্থত: বিসমিল্লাহ পড়া : প্রজ্ঞাময়, শরিয়তের বিধায়ক অনেক বিষয়ে বিসমিল্লাহ পাঠের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন, শয়তানকে পরাভূত করার জন্য।

[১]  যখন বাহন পিছলে যায় :

জনৈক সাহাবি বলেছেন—

كنت رديف النبي صلى الله عليه وسلم، فعثرت دابته،فقلت تعس الشيطان، فقال: لا تقل تعس الشيطان، فإنك إذا قلت ذلك تعاظم حتى يكون مثل البيت، ويقول: بقوتي، ولكن قل: بسم الله، فإنك إذا قلت ذلك تصاغر حتى يكون مثل الذباب. رواه أبوداود(৪৯৮২)، وصححه الألباني في صحيح سنن أبي داود(৪১৬৮)

আমি নবী সা.-এর সহযাত্রী ছিলাম। তার বাহনটি পিছলে যায়। তাই আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হোক। তিনি বললেন শয়তান ধ্বংস হোক, একথা বলো না। কেননা তুমি যখন তা বলবে, সে নিজেকে বড় মনে করবে যেন সে ঘরের মত। এবং বলবে আমার শক্তিতে তা হয়েছে। বরং তুমি বল, বিসমিল্লাহ। কেননা তুমি যদি তা পড় তবে শয়তান মাছির মত নিজেকে ছোট মনে করবে।

 

[২]  বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় :

রাসূল সা. বলেছেন, যখন কোন লোক তার বাড়ি থেকে বের হয় এবং বলে—

إذا خرج الرجل من بيته فقال: بسم الله، توكلت على الله، لاحول ولا قوة إلا بالله، قال: يقال له حينئذ: هديت، وكفيت، ووقيت، فتنحى له الشياطين، فيقول شيطان آخر: كيف لك برجل قد هدي، وكفي، ووقي.

আল্লাহর নামে আল্লাহর ওপরই আমি ভরসা করছি, আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কেউ ক্ষমতার মালিক নন। তিনি বললেন, তখন তাকে বলা হবে তুমি হেদায়াত প্রাপ্ত হয়েছ, এবং যথেষ্ট করেছ ও পরিত্রাণ লাভ করেছ। অত:পর শয়তান তার জন্য সরে দাঁড়ায়। অপর শয়তান বলে, তোমার অমুক ব্যক্তির ব্যাপারে কি সংবাদ ? সে হেদায়াত পেল ও পরিত্রাণ লাভ করল।

 

[৩]  সহবাসের মুহূর্তে :

নবী সা. বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন তার পরিবারের নিকট গমন করে এবং বলে—

بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان مارزقتنا، فرزقا ولدا، لم يضره الشيطان. رواه البخاري(৩২৭১).

উভয়কে এমন সন্তান দান করা হয় যাকে শয়তান কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারে না।

 

 

পঞ্চম : কোরআন পাঠ : দিবা-রাত্রি সর্ব মুহূর্তে আল্লাহর কিতাব পাঠ শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। উমর রা. উচ্চ স্বরে কোরআন তেলাওয়াত করে নামাজ পড়লেন, অত:পর (সকাল হলে) নবী সা.-এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. আমি এর মাধ্যমে শয়তানকে বিতাড়িত করছিলাম। নবী সা. তাকে (পরবর্তীতে নামাজের সময়) আওয়াজ সামান্য নিচু করার নির্দেশ দিলেন। মহান প্রজ্ঞাময় শরিয়ত প্রবর্তক এই বিষয়ের কিছু সুরা ও আয়াত নির্দিষ্ট করেছেন, তন্মধ্যে:

[১] সুরা আল বাকারা রাসূল সা. বলেছেন—

لاتجعلوا بيوتكم مقابر، إن الشيطان ينفر من البيت الذي تقرأ فيه سورة البقرة. رواه مسلم(৭৮০)

 তোমরা তোমাদের কবরকে বাড়ি বানিয়ো না, নি:সন্দেহে শয়তান ঐ বাড়ির থেকে পালিয়ে বেড়ায় যেখানে সুরা আল বাকারা পাঠ করা হয়।

 

[২] আয়াতুল কুরসি : শয়তানের চক্রান্ত থেকে মুক্ত থাকার জন্য আয়াতুল কুরসি পাঠ অনেক উপকারী। শয়তান আবু হুরায়রা রা. কে এই আয়াত শিখিয়েছে, সে তার কাছে ব্যাখ্যা করেছে যে এই আয়াত পাঠ করবে,আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সর্বদা হেফাজতকারী থাকবে, সকল হওয়ার আগ মুহূর্তে পর্যন্ত শয়তান তার কাছেও ঘেঁষবে না। অত:পর রাসূল আবু হুরায়রাকে বললেন,

صدقك وهو كذوب. علقه البخاري في صحيحه بصيغة الجزم.

সে তোমাকে সত্য বলেছে, অথচ সে মিথ্যুক।

 

ষষ্ঠ : মন্দের উৎসকে উপড়ে ফেলা এবং তর পথ বন্ধ করে দেওয়া:

ঐ দু’জন সাহাবিকে রাসূলের বক্তব্য প্রমাণ করে যারা তাকে তার বিবি সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই এর সঙ্গে দেখেছিল, তিনি তো সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই। নবী সা. আরো বলেন—

لايشير أحدكم على أخيه بالسلاح فإنه لا يدري لعل الشيطان ينزع في يده فيقع في حفرة من النار.

 তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের প্রতি অস্ত্র উঁচিয়ে ইঙ্গিত করবে না। কেননা সে জানে না হয়ত শয়তান নিজের হাতে নিয়ে যাবে অত:পর সে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।

 

 

সপ্তম : শয়তানের কুমন্ত্রণা ও পদক্ষেপে সাড়া দেওয়া এবং তার সঙ্গে ছাড় দেওয়া থেকে বেঁচে থাকা।

এ বিষয়ে দু’টি হাদিসের বক্তব্য প্রমাণ করে :

প্রথমত: রাসূল সা. বলেছেন—

يعقد الشيطان على قافية رأس أحدكم إذا هو نام ثلاث عقد، يضرب كل عقدة عليك ليل طويل فارقد، فإن استيقظ فذكر الله انحلت عقدة، فإن توضأ انحلت عقدة، فإن صلى انحلت عقدة فأصبح نشيطا طيب النفس، وإلا أصبح خبيث النفس كسلان.

শয়তান তোমাদের মাথার অগ্রভাগে। তিনটি গিঁট দেয়, যখন সে ঘুমায়। সে সারারাত ব্যাপী তোমার ওপর গিঁট দিয়ে রাখবে এবং ঘুমিয়ে দেবে, যখন সে জাগ্রত হবে ও আল্লাহকে স্মরণ করবে, তার একটি গেড়ো খুলে যাবে, অত:পর যদি সে ওজু করে আরেকটি গেড়ো খুলে যাবে। তারপর যদি সে নামাজ পরে আরেকটি গেড়ো খুলে যাবে। অত:পর সে সুস্থ মন ও কর্মোদ্যমী উৎসাহী হয়ে যাবে। অন্যথায় সে অলস ও বিষাদগ্রস্ত মনের অধিকারী হয়ে যাবে। 

 

দ্বিতীয়টি: রাসূল বলেছেন—

يأتي الشيطان أحدكم فيقول: من خلق كذا؟ من خلق كذا؟ حتى يقول: من خلق ربك؟، فإذا بلغه فليستعذ بالله ولينته. رواه البخاري(৩২৭৬)، ومسلم(১৩৪)

শয়তান তোমাদের কারো কাছে এসে বলে এটা কে সৃষ্টি করেছে, আর ওটা কে? এক পর্যায়ে সে বলে তোমার রবকে সৃষ্টি করেছে কে? অত:পর সে যখন এই স্তরে পৌঁছায় আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে এবং লাগাম টেনে ধরবে।

 

 

ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

 

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন